Date : 2024-04-26

রাজধানীর বুকে কৃষক আন্দোলনের ঢেউ, কৃষক-পুলিশ ধুন্ধুমার, লালকেল্লায় উড়ল পতাকা

সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর বুকে আছড়ে পড়ল কৃষক আন্দোলনের ঢেউ। হাজার-হাজার ট্রাক্টর নিয়ে কৃষক মিছিলে ছয়লাপ হল রাজধানী। দিল্লি পুলিশের সব বাধা অতিক্রম করে লালকেল্লায় উড়িয়ে দেওয়া হল কৃষক সংগঠনের পতাকা।সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ কিছুই বাদ যায়নি কৃষকদের এই ট্রাক্টর রালিকে কেন্দ্র করে। কিন্তু একরোখা প্রতিবাদী কৃষকদের কোনও কিছুই দমাতে পারেনি। সিংঘু-সহ দিল্লির তিন সীমানায় যে ব্যারিকেড করা হয়েছিল, সবই ভেঙে চুরমার করে দেন আন্দোলনরত কৃষকরা। দিল্লি পুলিশকে কার্যত দিশাহারা করে দেন আন্দোলনকারীরা।ঘোষিত পথে না গিয়ে ট্রাক্টর মিছিলকে অন্য পথে নিয়ে যান কৃষকরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই দিল্লির দিকে এগিয়ে আসতে থাকে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল। সেই মিছিলের স্রোত আটকাতে যথাসম্ভব চেষ্টা করে পুলিশ। কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটান হয়।বাদ যায়নি লাঠিচার্জ। দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলাকালীন একটি ট্রাক্টর উল্টে যায়। সেই ট্রাক্টর চাপা পড়ে এক কৃষকের মৃত্যুতে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।এই ঘটনায় আন্দোলনকারীরা আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ব্যারিকেড ভেঙে লালকেল্লার ভিতরে ঢুকে পড়েন তারা। সেখানে বেশ কয়েকটি জায়গায় কৃষক সংগঠনের পতাকা লাগিয়ে দেন তারা। এই পর্বে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চরম আকার ধারণ করে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।

সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানী অশান্ত হয়ে ওঠায় দুপুরে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরই রাজধানীর একাংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনও কোনও অংশে মেট্রো পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের শান্তি বজায় রাখার আহবান জানান হয়। শান্তির বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। রাহুল বলেছেন, হিংসা কখনও সমস্যার সমাধান হতে পারে না। দেশের মঙ্গলের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, তিনটি নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হোক।