Date : 2024-04-26

৪০শতাংশ পড়ুয়া উধাও !

করোনা আবহে এনেক কিছুই বদলে গেছে। একদিকে যেমন আক্রান্তের গ্রাফ বেড়েছে তেমনি অন্যদিকে মানুষের উপার্জনের গ্রাফ কিন্তু কমেছে অনেকটাই। টানা লকডাউন কিংবা করোনাবিধি কড়াকড়ির জেরে বন্ধ হয়েছে বহু ব্যবসা। কেউ বা তাদের রোজগার হারিয়েছেন। কারো বা রোজগার কমেছে।প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোথাও অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু হলেও অবাক করা পরিসংখ্যান উঠে এসেছে হরিয়ানা শিক্ষা দফতরের হাতে। দেখা যাচ্ছে, অতিমারীর এই দেড় বছরে হরিয়ানার বেসরকারি স্কুলগুলির ৪০ শতাংশ পড়ুয়ারা একপ্রকার হাওয়া। করোনা পরিস্থিতিতে পঠনপাঠন নিয়ে সম্প্রতি হরিয়ানার শিক্ষা দফতরে রিপোর্ট জমা দেয় সেরাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি। সেখানে দেখা গেছে আগের শিক্ষাবর্ষ অর্থাত ২০২০ শিক্ষাবর্ষে যেখানে ২৯ লক্ষ ৮৩ হাজার পড়ুয়ার নাম নথিভুক্ত করেছিল।

এবছর নাম নথিভুক্ত করেছে মাত্র ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার জন পড়ুয়া। অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ পড়ুয়া বেমালুম নিখোঁজ। যা মোট পড়ুয়ার সংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ। মাত্র একটি শিক্ষাবর্ষে এত বিশাল সংখ্যক পড়ুয়া নিখোঁজ হয়ে যাওয়াটা এককথায় অবিশ্বাস্য। এই দেখে হরিয়ানা সরকারের মাথায় হাত। এত সংখ্যক পড়ুয়ারা গেল কোথায়। আসলে এই করোনা পরিস্থিতিতে অনেক পড়ুয়াদের অভিভাবকরাই তাদের রোজগার হারিয়েছেন। কিংবা মাস মাইনে কমে গেছে। আবার অনেকেই তাদের সন্তানদের টাকার অভাবে বেসরকারী স্কুল থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি করতে বাধ্য হয়েছেন।

এমনিতেও হরিয়ানায় সরকারি স্কুলের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার। যা বেসরকারি স্কুলের তুলনায় অনেকটাই বেশি। বেসরকারি স্কুল গুলিতে এই নামবদলের নথি থাকার কথা। কিন্তু সেখানেও হিসেব মিলছেনা। এই সাড়ে ১২ লক্ষ পড়ুয়া গেল তো গেলো কোথায়।তারা স্কুল ছুট হয়ে গেল কোথায়। অনেকের ব্যাখ্যা হরিয়ানায় বহু পরিযায়ী শ্রমিকের বাস। হয়তো লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের সঙ্গে তাঁদের সন্তানরাও হয়তো বাড়ি ফিরেছেন।কিংবা এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ছেলেমেয়েরা হয়তো এখন আর বেসরকারি স্কুলে না পড়ে সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করছে। এই পরিসংখ্যানে চিন্তার ভাঁজ হরিয়ানা সরকারের কপালে।