Date : 2024-04-26

মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে সরকারের ভাবনা থেকেই রাজেন্দ্রর “দুয়ারে চা’

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ভাবনা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাই দুয়ারে চা নামের ট্যাগ লাগিয়ে চা বিক্রি করছে রাজেন্দ্র নায়েক। মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় তাঁর উদ্দেশ্য। তাই সাইকেল প্যাডেল করে দুয়ারে চা পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে।


একটি সাইকেল। পরনে সাদা গেঞ্জি। গেঞ্জির গায়ে লেখা দুয়ারে চা। তার নিচেই ফোন নম্বর দেওয়া রয়েছে। সাইকেলের সামনে বড় বড় করে লেখা দুয়ারে চা-টাকা লাগবে না চা খেয়ে যান। পাশাপাশি দুটি থলে রয়েছে। তাতে একটিতে চায়ের ফ্লাক্স আরেকটিতে বিস্কুট। যিনি চা বিক্রি করছেন তার নাম রাজেন্দ্র নায়েক। বাড়ি উড়িষ্যা। কলকাতার লর্ড সিনহা রোডে বাবার সঙ্গে থাকে রাজেন্দ্র। লকডাউনের সময় বাবার চাকরি চলে যাওয়ায় সংসারের হাল ধরেছেন রাজেন্দ্র। লকডাউনের সময় থেকেই চা বিক্রি করছে সে। প্রথমে অন্যের দোকানে চা বিক্রি করলেও পরে তা ছেড়ে দিতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী দুয়ারে সরকারের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই দুয়ারে চা বিক্রির করার পরিকল্পনা আসে রাজেন্দ্রর।

তারপর সাইকেলে করে চা বিক্রি করা। যাতে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে।হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন রাজেন্দ্র। কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশোনা হল না তাঁর। তার উপর বাধ সাধে করোনা। ইচ্ছা না থাকলেও চা বিক্রি করার পথ বেছে নিতে হয় রাজেন্দ্রকে। লর্ড সিনহা রোড, এক্সাইড মোড়, তারামণ্ডল, শেক্সপিয়র সরণি এই সব জায়গায় রাজেন্দ্র নায়েকৃ-কে দেখা যায় চা বিক্রি করতে। লোকের মুখে মুখে বিখ্যাত হয়ে গেছে রাজেন্দ্রর ফোন নম্বর। ফোন করে চা পান করার অর্ডার আসে তাঁর কাছে। এমনকি যাদের চা পান করার ইচ্ছা আছে তবে টাকার অভাবে চা পান করতে পারে না তাদেরকে ফ্রিতে চা পান করায় রাজেন্দ্র।
রাজেন্দ্রকে দেখে এমনিতেই পথচলতি মানুষ দাঁড়িয়ে যায় চা পান করার জন্য। তাঁর চায়ের ভাড়ে চুমুক দিয়ে সকলেই অভিভূত।
রাজেন্দ্রর কাছে ৪টাকার চা যেমন আছে তেমন পাওয়া যায় ১০ টাকার চাও। বছর ২৩শের রাজেন্দ্রর স্বপ্ন একটা চায়ের দোকান হবে। করোনা আবহে অনেকেই আছেন যারা অফিস থেকে বেরিয়ে চায়ের ঠেকে চা পান করতে যেতে চান না। তাদের জন্য হাজির দুয়ারে চা।