Date : 2024-04-27

সুনামির আকার নিচ্ছে ওমিক্রন, সতর্কবার্তা হু-য়ের

পৌষালী সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক : ডেল্টার প্রভাব এখনও কাটেনি, তার মধ্যেই ওমিক্রন এসে হাজির। আর কোভিডের এই দুই রূপের চাপে আগামী দিনে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করে এমনই সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।হু প্রধান বলেছেন, “ওমিক্রনের সংক্রমণের হার এত বেশি যে এটা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে কোভিডের সুনামি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” তাঁর কথায়, “যদি এমনটা হয় তা হলে স্বাস্থ্যকর্মী এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর বিপুল চাপ তৈরি হবে। এমনকি স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে।”হু প্রধান আরও জানান, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য যে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এমনটা নয়। বিপুল সংখ্যক স্বস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে যাঁদের উপর স্বাস্থ্যব্যবস্থা নির্ভরশীল তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার দিকেই এগোবে।ইতিমধ্যেই বিশ্বের বহু দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে গোটা বিশ্বে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে ডেল্টাকে সরিয়ে ইতিমধ্যেই চালিকাশক্তির ভূমিকা নিয়েছে ওমিক্রন।বছর শেষের উৎসব প্রায় ম্লান ফ্রান্সে।এক দিনে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮০৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে।সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী তিন সপ্তাহ সমস্ত নাইটক্লাব বন্ধ থাকবে। উৎসবের এই সময়ে প্রচুর লোক ঘুরতে-বেড়াতে যান। তাতে সংক্রমণ বাড়তে পারে আশঙ্কা করেই কড়াকড়ি শুরু করেছিল প্রশাসন।কিন্তু রক্ষা হয়নি তাতে।ফ্রান্সের পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘ব্যবসায়ী এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আর্থিক সঙ্কটের বিষয়টি বুঝতে পারছি। কিন্তু উপায় নেই। সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য করা হবে।’’ অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জেরাল দারমান্যাঁ জানিয়েছেন, নতুন বছর পালন করতে কোথাও ভিড় বা জমায়েত করা যাবে না। রাস্তায় বেরোতে হলে মুখে মাস্ক থাকা আবশ্যিক। রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাওয়া বা মদ্যপান করা যাবে না। এ জন্য নজরদারি বাড়ানো হবে। রাস্তায় নামানো হবে বিশাল পুলিশ বাহিনী।বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি টিকাকরণের হার ফ্রান্সে। টিকা নেওয়ার যোগ্য জনসংখ্যার ৯০ শতাংশের ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তার পরেও এই অবস্থা।আমেরিকাতে সংক্রমণের ছবিটাও ঠিক এক রকম।ভারতেও চলতি মাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়েছে। ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে প্রায় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬১। শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তার পরই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন।