নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তাল থাকলো কলেজস্ট্রিট চত্বর। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে একযোগে এদিন আন্দোলন দেখালো এসএফআই, এবিভিপি ও ছাত্র পরিষদ। পোস্টার হাতে নিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি এর সদস্যরা। তবে কিছুক্ষণ সেখানে অবস্থান করার পর তারা হঠাৎই চলে আসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসএফআইয়ের সদস্যরা বিকল্প ক্লাসরুমের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে অশান্তির আশঙ্কায় আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছিল পুলিশ। এসএফআই সদস্যরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করলেও এবিভিপির প্রতিবাদের জেরে কিছুটা হলেও উত্তাল হয়ে ওঠে কলেজস্ট্রিট চত্বর, যদিও তড়িঘড়ি সামাল দেয় পুলিশ। অন্য দিকে ছাত্র পরিষদের তরফ থেকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় কলেজ স্ট্রিটে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তারা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়।
ধীরে ধীরে কমছে করোনা সংক্রমনের হার। দেশের কোথাও কোথাও খুলতে শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনার সংক্রমণ এরাজ্যে ও নিম্নমুখী। বেশ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কড়া বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। আগের মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাতে বন্ধ না করে দিতে হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। ৭ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে “পাড়ায় শিক্ষালয়’। চার দেওয়ালের মধ্যে নয় খোলামেলা জায়গায় পঠন পাঠন করবে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়ারা।
তবে “পাড়ায় শিক্ষালয়’ উদ্যোগের মাধ্যমে নয় খোলা হোক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দরজা। শুরু হোক অফলাইনে পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন এমনটাই দাবি জানিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই বামপন্থী ছাত্র যুব সংগঠনের সদস্যরা আন্দোলনে নেমেছে। 31 শে জানুয়ারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কে কেন্দ্র করে আইন অমান্য আন্দোলনে সামিল হবে বাম ছাত্র যুব সংগঠনের সদস্যরা। অন্যদিকে এদিনই বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না হলে পরবর্তীকালে বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নেবে বলেও হুঁশিয়ারি এসএফআই, এবিভিপি ও ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।