Date : 2024-04-26

কেন জামাইষষ্ঠী পালন করা হয় জানেন কি? রইল কিছু অজানা তথ্য

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: জামাইষষ্ঠী। বাঙালিদের কাছে এটি একটি বিশেষ দিন। জামাই শ্বশুরবাড়িতে আসে বিশেষ আমন্ত্রণে। শাশুড়ি মেয়ের সুখী দাম্পত্য জীবন ও জামাইয়ের মঙ্গলকামনা করে ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন।
কেন জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়?জামাইষষ্ঠী সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেওয়া যাকঃ
বলা হয়, মা ষষ্ঠী শুধু গ্রাম দেবী নন। মঙ্গলকাব্যের অপর দুই দেবী শীতলা ও মনসার মতোই তিনি নানান অঞ্চলে পূজিত হন।
যাজ্ঞবল্ক্যস্মৃতিতে মা ষষ্ঠীকে বলা হয়েছে স্কন্দদেবের পালিকা মা ও রক্ষয়িত্রী। আবার পদ্মপুরাণে তিনি স্কন্দের স্ত্রী।
বায়ু পুরাণ অনুযায়ী, ষষ্ঠী ৪৯টি দেবীর অন্যতম। আবার, অপর একটি পুরাণে অনুযায়ী, তিনি সমস্ত মাতৃদেবীর মধ্যে আরাধ্যতমা দেবী।


জামাই ষষ্ঠী আসলে সন্তানের দেবী মা ষষ্ঠীর পুজো। এই ব্রতকে আবার অরণ্যষষ্ঠী হিসেবেও পালিত হয়।
বাংলাদেশে ষষ্ঠী দেবীর মূর্তি পুজো হয়। মার্জারবাহিনী ষষ্ঠীর কোলে এক বা একাধিক শিশু থাকে।
বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য অনেক রাজ্যেও ষষ্ঠী পুজো করা হয়। এই পুজোর সঙ্গে সন্তানের মঙ্গলের সম্পর্ক রয়েছে। উত্তর ভারতে বিশেষত বিহার, উত্তর প্রদেশে সন্তান জন্মানোর ৬ দিন পর একটি পুজো করা হয়। এতে ছট্টি বা ছঠি বলা হয়। মা ষষ্ঠীকে সেখানে ছঠি মাতা বলা হয়। ওডিশায় সন্তান জন্মের ৬ দিন বা ২১ দিন পর মা ষষ্ঠী দেবী পূজিত হন।


আবার অন্য একটি ধারণা অনুযায়ী, মা ষষ্ঠী অমঙ্গলের দেবী। দেবী ক্ষুব্ধ হলে সেই কষ্ট ভোগ করতে হয় মা ও সন্তানকে। কাশ্যপ সংহিতা মতে ষষ্ঠী জাতহরণি। তিনি মায়ের গর্ভ থেকেই থেকে ভ্রুণ কেড়ে নেন। সন্তান জন্মের ৬ দিনের মধ্যে তাঁকে ভক্ষণ করেন বলে উল্লেখ রয়েছে। এই কারণে শিশু জন্মানোর পর ষষ্ঠ দিনে তাঁকে পুজো করা হয়।
তবে প্রশ্ন ওঠে, এই ষষ্ঠীর ব্রত তো করা হয় সন্তানের মঙ্গলকামনায়।