Date : 2024-04-27

কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর স্বায়ত্বশাসন হোক। দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে এর আগেও বারে বারে ক্ষোভ দেখিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী মত কে দাবিয়ে রাখার জন্য ইডি, সিবিআই এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগানোর অভিযোগ‌ও উঠেছে বার বার। এবার সেই এজেন্সিগুলোকেই স্বশাসিত করা হোক বলে দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, “দুই জন দেশটাকে চালাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে ম্যালাইন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ওদের এজেন্সিকে দিয়ে এই কাজ করছে।” এই সময়েই নজিরবিহীন মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “এরকম এত নিকৃষ্ট টাইপের রাজনৈতিক ইন্টারফিয়ারেন্স এমনকি হিটলারের আমলে হয়নি। স্তালিন, মুসোলিনিও করেনি। একদম তুঘলকি কায়দায় দেশ চালাচ্ছে।” এজেন্সিগুলোকে দিয়ে এইভাবে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগানো আটকাতে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব এজেন্সিগুলোকে স্ব-শাসিত করা হোক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন্দ্র সংস্থাগুলোকে স্বায়ত্বশাসন দেওয়া হোক যাতে এইসব সংস্থাগুলো নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে।” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের কাছে এরা যাতে দায়বদ্ধ না থাকে। শুধু এদের বেতনের ব্যবস্থা করুক সরকার।”
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর স্বায়ত্বশাসন এর যে দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন,
“তিনি যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন তখন তো কথায় কথায় সিবিআই এর দাবি জানাতেন। এখন ওনার স্বৈরাচারী মানসিকতায় এঁরা বাঁধা দেয়। তিনি বাংলা কে এক কথায় ভারত থেকে আলাদা করার চেষ্টা করছেন। উনার কি এই কথা বলার অধিকার আছে। উনি সংবিধানের শপথ নিয়ে একটা নির্বাচিত সরকার চালাচ্ছেন। উনি যা ইচ্ছা করবেন, কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। তাই যখন বাঁধা আসে তখন এইসব উল্টোপাল্টা কথা বলেন।”
মুখ্যমন্ত্রী যে প্রস্তাব‌ই দেন না কেন, দিলীপ ঘোষ পাল্টা যাই বলুন না কেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্বায়ত্বশাসনের যে দাবি উঠেছে তা আগামি দিনে আরো বাড়বে বলেই মনে অভিজ্ঞ মহল।