স ‘সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট’ এর বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে সোমবার সন্ধ্যায়। তারপর মঙ্গলবার হাবড়ার মঞ্চ থেকে সেই বিধির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন এই রাজ্যে একজন মানুষেরও নাগরিকত্ব তিনি কাড়তে দেবেন না।
সিএএ নিয়ে নিজের আপত্তির কথা দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই আইনের বিধি প্রণয়ন করেছে। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে এই ঘোষণায় রাজনীতি দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন সিএএ নিয়ে তিনি তাঁর মতামত জানাবেন মঙ্গলবার হাবড়ার মঞ্চ থেকে। সেই হিসাবে এদিন হাবড়ার বানীপুরের সভা মঞ্চ থেকে সিএএ নিয়ে নিজের সুর সপ্তমে চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাঁরা আমাকে যেটা জানিয়েছেন আমি সেখান থেকেই বলছি। সিএএ আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কাল কেন্দ্রীয় সরকার যে রুলটার কথা ঘোষণা করেছে, সেটা বৈধ কি না আমার সন্দেহ আছে। আদৌ এটা চলবে তো ?” আশঙ্কা প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এটা অধিকার কাড়ার খেলা। এটা বিজেপির লুডো খেলার ছক্কা।” সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “আপনারা যেই নাগরিকত্বের জন্য দরখাস্ত করবেন, তখন আপনাদের সব অধিকার ওরা কেড়ে নেবে।” সিএএ আইন নিয়ে তীব্র বিরোধীতা করে তিনি বলেন, “আপনি যেই দরখাস্ত করবেন, সঙ্গে সঙ্গে আপনারা অবৈধ হয়ে গেলেন।” যাতে কেউ নতুন করে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন না করে সেই আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ধাপ্পা দিচ্ছে, ধাপ্পা। মনে রাখবেন সব হারাবেন। এটাও যাবে, ওটাও যাবে।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পচা শামুকের মতো এই আইনটাকে সরিয়ে ফেলে দিন। এটা বিজেপির একটা জুমলা।” তিনি এটাও জানিয়ে দেন, “বাংলায় আমি কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেবো না। এই রাজ্যের কারো নাগরিকত্ব কাড়তে দেবো না।” রীতিমত তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যদি এর জন্য আমার জীবন পর্যন্ত চলে যায়, তাহলেও আমি কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেবো না।”