নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। তারই মধ্যে জয়েন্ট পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থা বোর্ডের। এবার পরীক্ষার্থীরা ট্রান্সপারেন্ট জলের বোতল নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষাকেন্দ্রে। পাশাপাশি সেন্টারগুলিতে ওআরএস মজুত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
রবিবার রাজ্য জয়েন্ট পরীক্ষা। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। ছল্লিশ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে তাপমাত্রার পারদ। বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন বেশি করে জল পান করার। তাই এবার জলের বোতল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের ছাড়পত্র দিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। তবে অবশ্যই জলের বোতলটি ট্রান্সপারেন্ট হতে হবে। পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমান জল ও ওআরএস রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা।
গত বছরের তুলনায় এবার বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। প্রচন্ড গরম তাই সকাল সাড়ে নটা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এবছর আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৯৪ জন। ২০২৩ ছিল মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ প্রায় ২৫ হাজার।
পরীক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেড়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাও।চলতি বছর পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৩২৮,গতবছর সেই সংখ্যা ছিল ৩০৬টি।প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর যন্ত্র।থাকছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর বা আরএফডি।
রবিবার সকাল ১১টায় শুরু হবে প্রথম পত্রের অর্থাৎ গণিত পরীক্ষা। চলবে ১টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় পত্রের অর্থাৎ পদার্থবিদ্যা ও রসায়নপরীক্ষা হবে দুপুর দুটো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত। প্রচন্ড গরম তাই পর্যাপ্ত পরিমান জলের ব্যবস্থা রাখার যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রগুলিকে। তেমনই প্রতিটি কেন্দ্রে জেনারেটর মজুত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেন্টার ইন চার্জদের।
আরো পড়ুন: প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপে দু বছর পর জট কাটলো স্টেট এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের