শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: দু’বছর পর আবার ধর্মতলায় হতে চলেছে একুশে জুলাই-এর সমাবেশ। রাইটার্স অভিযানে শহিদদের শ্রদ্ধা নিবেদন তৃণমূল কংগ্রেসের। তার প্রস্তুতিতেই এখন গোটা রাজ্য। প্রচার-মিছিল-মিটিংয়ের সঙ্গে চলছে দেওয়াল লিখন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম এখন একুশে জুলাই সমাবেশের প্রস্তুতি। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানাতে তোড়জোড় তুঙ্গে।
গত দুবছর পেন্ডামিক পরিস্থিতির জন্যে ভার্চুয়ালি দিদির বক্তব্য শুনেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। এবার সরাসরি ধর্মতলায় গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনবেন নেতাকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ থেকে আগামী দিনের পথ চলার নির্দেশিকা নেবেন রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। একটা আলাদা আনন্দ, আলাদা অনুভূতি।
অন্যান্য বছরের একুশে জুলাই এর সঙ্গে ২০২২ এর একুশে জুলাই রাজনৈতিক কারণেও তাৎপর্যপূর্ণ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই ২০২৪ এ দেশের নির্বাচন অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচন। বিজেপি সরকারকে সরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও সহযোগী বিরোধীরা দিল্লির মসনদ দখল করতে চাইছে। এই রাজনৈতিক বাতাবরণে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যত বেশি আসন ততই বেশি দেশের রাজনীতিতে গুরুত্ব বাড়বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।