Date : 2024-04-30

পাহাড় – জঙ্গল সত্যিই কি হাসিখুশি?

রুমঝুম সামন্ত, নিউজ ডেস্ক; নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে জিটিএ নির্বাচন। পাহাড়ে নতুন শক্তি হিসাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অনীত থাপারের দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক পার্টি। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে এবার খাতা খোলে তৃণমূলও। পাহাড়ের মতো সমতলেও ভোটের উত্তাপ। ভোটের প্রচারে এবার কলকাতায় এনডিএ পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। সব মিলিয়ে বলা যেতেই পারে বাংলায় শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভার মহড়া।
জিটিএ নির্বাচনের পর পাহাড়ে পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার জিটিএ প্রতিনিধিরা শপথ নেন। দার্জিলিং ম্যাল চৌরাস্তায় জিটিএ-র শপথ অনুষ্ঠান হয়। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়বাসীর উদ্দেশে বলেন,
“পাহাড় উন্নয়ন চায়, শান্তি চায়। সেই কারণে পাহাড় জিটিএ চায়। এই প্রথম পাহাড়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হল। এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আগে দেখিনি। পাহাড় আর কোনও অশান্তি, বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে না। গত 10 বছরে আমরা জিটিএকে 7 হাজার কোটি টাকা দিয়েছি। পাহাড়ে শান্তি থাকলে উন্নয়ন হবে।”
দশ বছর পর জিটিএ নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন বিমল গুরুং।
জিটিএ নির্বাচন
তৃণমূলকে সঙ্গী করে পাহাড়ে ক্ষমতা দখল করেছে
অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা
45টি আসনের মধ্যে 27টি আসন দখল করে অনীতের দল
পাঁচটি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস
জেতেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ট বিজয় তামাং

অন্যদিকে প্রচার সফরে এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িতে গিয়ে স্বামীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। বাংলার মানুষের মন জিততে এই পন্থা কিনা তা সময়ই বলবে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা। বিজেপির বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। শহরের এক অভিজাত পাঁচ তারা হোটেলে বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অনুপস্থিত অনেকেই
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির 77 জন জয়ী হন
তার মধ্যে সাতজন দল বদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন
বাকি 70 জন বিধায়ক বিজেপির হাতে থাকার কথা থাকলেও
বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল 68 জন বিধায়ককে
যদিও 68 জন বিধায়ককে এক করতে পারেননি শুভেন্দু-সুকান্ত
65 জন বিজেপি বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে
অনুপস্থিত ছিলেন পাহাড়ের দুই বিধায়ক নীরজ জিম্মা ও বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা
ছিলেন না মতুয়া বিধায়ক ডা: মুকুটমণি অধিকারীও
বাংলার একাধিক বিজেপি সাংসদও অনুপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে
জিটিএ থেকে দ্রৌপদী মুর্মু। পাহাড় থেকে সমতল। রাজ্য রাজনীতিতে পরস্পরকে নক-আউট করতে সচেষ্ট দুই পক্ষই। চব্বিশের ভোটের আগে ঘর গোছানো আর ঘর-ভাঙা, দুই শিবিরে সব ম্যাচই তাই লিড নেওয়ার।