Date : 2024-04-26

জমি ক্ষতিপূরণ মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের!রাজ্যের কোন আপত্তি আমল দিলো না হাইকোর্ট।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক:- রাজ্য যতই আপত্তি করুক জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করলে ২০১৩ সালের কেন্দ্রীয় আইনকেই ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিচ্ছে হাইকোর্ট। নদীয়া জেলার বেথুয়াডহরিতে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ নিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালে ওই জমি অধিগ্রহণ করার পর পুরনো আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্ষতিপূরণের অংকে আপত্তি ছিল মামলাকারীর। এই অবস্থায় বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বক্তব্য, ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারির আগে জমি অধিগ্রহণ হয়ে থাকলে বা ক্ষতিপূরণের অংকে আপত্তির যদি মীমাংসা না হয়ে থাকে, তাহলে ২০১৩ সালের আইন মেনেই আরবিট্রেশন করে ক্ষতিপূরণ মেটাতে হবে।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে জেলা প্রশাসনের কাছে। আর পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জেলা শাসককে আপত্তি শুনে সমস্যা মিটিয়ে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নতুন আইন মেনে। শুধু মামলাকারিই নন, জমিদাতা অন্যান্যদেরও যদি এমন আপত্তি থাকে, তাদের সকলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে।
মামলাকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা চলছে। আমরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণে নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। কয়েক হাজার মামলা ঝুলে রয়েছে। এই অবস্থায় আদালতের এই নির্দেশ বহু মামলারই সহজাত সমাধানের রাস্তা করে দিল। জাতীয় সড়ক বিভাগের আইনজীবী দীপঙ্কর দাস বলেছেন, জাতীয় সড়কের জন্য জমি নেওয়া হলে নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দিতে আমাদের আপত্তি নেই। সে কথা আদালতকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি।