Date : 2024-04-30

৮৫ হাজার আমানতকারীদের হাতে চেক তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলেন প্রাক্তন বিচারপতি শৈলেন্দ্র প্রসাদ তালুকদারের একক কমিটি।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : রাজ্যে একের পর এক ভুঁইফোড় বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছিল।লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই সমস্ত বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন আমানতকারীরা।সারদা, আইকর, টাওয়ার এবং পৈলানের মতো চিটফান্ড কোম্পানি গুলিতে।

২০১৪ সালে সারদা কাণ্ডের পর একের পর এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার না প্রকাশ্যে আসতেই সারা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ প্রতিবাদ আন্দোলন শুধু নয়, বহু মানুষ আত্নহত্যা করেছিলেন।বহু এজেন্টদের রাতারাতি ঘরছাড়াও হতে হয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্টে প্রথম সারদা কোম্পানি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা।জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সিবিআই তদন্ত শুরু করে।মামলা ফিরে আসে কলকাতা হাইকোর্টে।

তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর নির্দেশে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গঠিত হয় বিশেষ বেঞ্চ।আমানত কারীদের অভাব অভিযোগ শুনতে শুরু করলো বিশেষ বেঞ্চ। কিভাবে ফেরত পাবে আমানত কারীদের কোটি কোটি টাকা? ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রাক্তন বিচারপতি এস পি তালুকদারের একক কমিটি।

বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার কোথায় কোথায় কত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরি করে কিভাবে সম্পত্তি আমানতকারীদের ফিরিয়ে দেওয়া যায় শুরু হয় তোড়জোড়।

আমানতকারীদের পক্ষে আইনজীবী অরিন্দম দাস বার বার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কি ভাবে গরিব খেটে খাওয়া মানুষের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া যায়।প্রাক্তন বিচারপতি এস পি তালুকদারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে উদ্যোগী হন তিনি।

মঙ্গলবার বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পৈলান গ্রপের যাঁরা আমানতকারীদের কাউন্সিল স্ট্রিট হাউসে ৮৫ হাজার মানুষের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়। ১০০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া শুরু হয়।আগামীকাল বুধবার, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অরিন্দম বাবু।পাশাপাশি আর এক লক্ষ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।