Date : 2024-04-26

১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার ত্রিপুরা সংহতি দিবস পালন এ রাজ্যে।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- ত্রিপুরায় যেভাবে বিজেপি সরকার অপশাসন করছে তার বিরোধিতায় এবার রাস্তায় নামতে চলেছে সিপিআই(এম)। পশ্চিমবঙ্গে অর্থাৎ এ রাজ্যে সেই অপশাসন তুলে ধরতে সিপিআই(এম) ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘ত্রিপুরা সংহতি দিবস’ পালন করবে। পার্টির দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার আলিমুদ্দিন এ এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন পার্টির রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সংবিধানকে তোয়াক্কা না করে, আইনের অপশাসন, করেই পাঁচটা বছর রাজত্ব করেছে বিজেপি সরকার। ১৬ ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরা নির্বাচন। হিংসার রাজনীতির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক বিভাজনও ছড়িয়েছে। সেই তথ্যই পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষকে জানানোর জন্য সোমবার ১৩ই ফেব্রুয়ারি পথে সিপিআই (এম)।
ত্রিপুরা প্রসঙ্গে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেলিম বলেন ‘ত্রিপুরার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভাষাগত, সাংস্কৃতিক ও আত্মিক যোগাযোগ গভীর। গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় বিজেপি যে অপশাসন চালিয়েছে তা সাধারণ মানুষের জানা দরকার। সেই কারণে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরা সংহতি দিবস পালন করবে সিপিআই(এম)। ত্রিপুরাতেও বিজেপির ভোট ভাঙতে বিশেষ ভূমিকা নিতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে সেলিম বলেন, গত পাঁচ বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতবার ত্রিপুরায় গেছেন। ত্রিপুরার মানুষ যখন আক্রান্ত হয়েছেন, বিরোধীদের ওপর যখন আক্রমণ চলেছে তখন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় যায়নি। কিন্তু তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারকে ফেলার জন্য বারবার ত্রিপুরায় গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের ভূমিকা কী।
ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্ন দেখিয়ে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। ৫ বছরে সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে ত্রিপুরাবাসীর। সরকারি ক্ষেত্রে কর্ম সংস্থান প্রায় হয়নি। বিগত পাঁচ বছরে উন্নয়ন বলতে শুধু জাতীয় সড়ক নির্মানের কাজ ও রেল সম্প্রসারণের কাজ। কিন্তু সেই প্রকল্পগুলিও অনুমোদন পেয়েছিল আগের বামফ্রন্ট সরকারে আমলেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় বলেছেন বছরে দু’বার ডিএ দেবেন সরকারি কর্মচারীদের। এই প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করে সেলিম বলেছেন, –
পশ্চিমবঙ্গে বকেয়া ডিএ না পেয়ে আন্দোলনে নামতে হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের। রাস্তায় অবস্থানে বসতে হচ্ছে।