Date : 2024-05-02

এক দশকের বেশি সময় ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত!এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? প্রশ্নের মুখে SSC।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে (RTI) মাধ্যমে জানতে চাইলেন তারা জানায় প্রার্থীরা মূল পর্বে যাওয়ার জন্য যোগ্য অর্জন হিসেবে বিবেচিত হয়নি। প্রার্থীরা দেখতে পায় এসএসসি ১২টি প্রশ্নের সঠিক মূলযায়ন করেনি। তার মধ্যে ৬টি চাইল্ড ডেভলপমেন্ট এন্ড PEDAGOGA, দুটি ইংরেজি এবং বাংলায় তারা সঠিক উত্তর দেওয়া সাথেও নম্বর পায়নি বলে অভিযোগ। এবিষয়ে এসএসসির কাছে বার বার আবেদনে সাড়া না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকুরী প্রার্থীরা।

মামলাকারি তপন কুমার পাল, হরসুন্দর পান্ডা, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী সহ্ অন্যান্যদের পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান এই ১২টি প্রশ্নের ভুল মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিচারপতি রাজা শেখর মানথার এজলাসে তা স্বীকার করে নেয়। গত ৬ই জানুয়ারি ২০২৩ সালে এসএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই সমস্ত মামলাকারিদের যোগ্য বলে বিবেচিত করে নিয়োগের ব্যবস্থা করে।

আইনজীবী আরও বলেন ঠিক একই কারণে এই সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের প্রশ্নের সঠিক মূল্যায়ন না করে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এসএসসি যে প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে সেখানে কয়েকটি প্রশ্ন সিলেবাসের বাইরে থেকে এসেছে এবং মামলাকারীরা মোট ১২টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেও তাঁদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। এবিষয় বিভিন্ন রায়ের ওই প্রশ্ন গুলোর উত্তর যে ভুল এবং সঠিক মূল্যায়ন হয়নি তা বারংবার বলা সত্বেও কর্ণপাত করেনি এসএসসি। তারা এক দশকের বেশি সময় ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার নির্দেশে এসএসসি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ দিয়েছে। তাহলে বর্তমানে মামলাকারিরা সেই সুযোগ পাবে না।

ভুল প্রশ্ন এবং সঠিক মূল্যায়ন না করায় ১২বছর পর আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন। রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ।

২০১১সালের RLST (রিজিওনাল লেভেল সিলেকশন টেস্ট) ৯০নম্বরে পরীক্ষা হয়। যেখানে ৬জন প্রার্থীকে নট কোয়ালিফাই (অনুতীর্ণ) দেখায়।

বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের নির্দেশ আগামী ২৮শে জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির অবস্থান জানিয়ে রিপোর্ট পেশ করবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২শে আগস্ট।