Date : 2024-05-02

কুয়েতের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচের পর মণিপুরের পতাকা হাতে সেলিব্রেশন করে বিতর্কে জিকসন সিং

কুয়েতের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচের পর মণিপুরের পতাকা হাতে সেলিব্রেশন করে বিতর্কে জিকসন সিং। ভারতের জয়ের পর তিনি অশান্ত মণিপুরে শান্তির বার্তা দিতেই সেই পতাকা নিয়ে মঞ্চে ওঠেন। ফুটবলের মাঠকে কেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হল, উঠছে প্রশ্ন।ফুটবলের সঙ্গে বিতর্ক শব্দটা বহুদিন ধরেই সমস্বরে উচ্চারিত হয়। দুই দেশের চিরপ্রতিদ্বন্দীতা যেমন তৈরি করতে পারে ফুটবল, তেমনই সব ক্লেশ ভুলিয়ে ভ্রাতৃত্ব এবং ঐক্যের সুস্পষ্ট ছবি আনতে পারে ফুটবলই। বরাবরই যে কোনও প্রতিবাদ জানাতেই খেলার মাঠকে হাতিয়ার করতে দেখা যায় তারকাদের। সুইৎজারল্যান্ডের জাতীয় দলের ম্যাচে জার্ডান শাকিরি, গ্রানিত ঝাকাদের প্রতিবাদ হোক বা ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স আন্দোলনের সময় জ্যাডন স্যাঞ্চোদের মাঠের ভিতর প্রতিবাদ। কিংবা সাম্প্রতিককালে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের বিপক্ষে বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদ, বরাবরই বিতর্কের প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে খেলার মাঠ। এবার কুয়েত বনাম ভারত ম্যাচেও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মাঠকেই বেছে নিলেন ভারতীয় ফুটবলাররা। মণিপুরে দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে অশান্তি। পাহাড়ের মতো শিতল জায়গায় শেষ কয়েকমাস জ্বলছে। এই পরিস্থিতিতে সব পক্ষ থেকেই মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়েছে। মিরাবাই চানু থেকে সুনীল ছেত্রী, বারবার মণিপুরে শান্তি ফেরানোর আবেদন করেছেন তারা। কুয়েতের বিপক্ষে ভারতের জয়ের পর মণিপুরের পতাকা নিয়েই সেলিব্রেশনে মাতলেন ভারতীয় ফুটবল জিকসন সিং। তিনি মণিপুরেরই ছেলে। তাই নিজের প্রীয় রাজ্যকে অশান্ত দেখতে না পেরে, শান্তির বার্তা নিয়ে মাঠেই মণিপুরের পতাকা নিয়ে সেলিব্রেশন করেন তিনি। পদক নেওয়ার সময়ও তার গায়ে ছিল মণিপুরের পতাকা। এরপর জিকসন বলেন, দেশের সবার কাছে, বিশেষ করে মণিপুর বাসির কাছে তার আবেদন সকলে যেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। যদিও এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ফুটবল বহির্ভুত কোনও কর্মকান্ড করলে শাস্তির মুখে পড়তে হয়। যদিও শুধু জিকসন নয়, ভারতের পতাকার সঙ্গেই গ্যালারিতে ছিল মণিপুরের পতাকাও।