Date : 2024-05-02

“চারিদিকে ইডি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই সময় কেউ জমি কেনে ?” প্রায় আর্তনাদের সুরে বললেন এক তৃণমূল বিধায়ক

সঞ্জু সুর, সাংবাদিক ঃ বিধানসভার অধিবেশন তখনও শুরু হয় নি। লবিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আড্ডা দিচ্ছেন সব বিধায়করা। এমন সময় এক তৃণমূল বিধায়কের ফোন বেজে উঠলো। ফোনের ওপারে কি বললো তখন বোঝা না গেলেও সেই তৃণমূল বিধায়ক প্রায় আঁতকে উঠে বললেন, “না না, আমার এসব লাগবে না।” বলেই কেঁটে দিলেন ফোন। তারপর‌ই প্রায় স্বগতোক্তির মত করে বললেন উপরের কথাগুলো।

ফ্রড কল বা ফেক কল নিয়ে আমরা সকলেই প্রায় কমবেশি ভুক্তভোগী। তার সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ঋণদাতা কোম্পানির ফোন, জমি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ফোন। এমন‌ই জমি কেনার জন্য খোঁজ খবর নিতে ওই বিধায়কের ফোনে ফোন এসেছিলো। হুগলি জেলা থেকে নির্বাচিত ওই বিধায়ক বলেন, আমার এখানে বাড়ি রয়েছে, জমি রয়েছে। আমি খামোকা এখন আবার কেন জমি কিনতে যাবো। তাও আবার শিলিগুড়িতে! আসলে বিধায়ক জানালেন শিলিগুড়ি থেকে কেউ একজন ফোন করে তাঁর কাছে জানতে চান যে তিনি শিলিগুড়িতে কোনো জমি কিনবেন কি না। পরে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, আমি কি পাগল নাকি। যেভাবে ইডি চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এই সময় কেউ জমি কেনে নাকি। তা হঠাৎ জমি কেনার সঙ্গে ইডির ঘুরে বেড়ানো নিয়ে আপনি ভাবছেন কেন ? প্রশ্ন শুনেই ওই বিধায়ক বললেন, “দেখতে পাচ্ছেন না ইডি কিভাবে আমাদের পিছনে পড়েছে। আরে, বাড়িতে নতুন টিভি বা এসি কিনতে গেলেও চোদ্দবার ভাবতে হচ্ছে।” বলেই ফের হাসতে শুরু করলেন তিনি। কাছেই থাকা আরো দুই তিনজন বিধায়ক‌ও হাসতে হাসতে তাঁর কথাকেই সমর্থন জানালেন। এই বিষয় নিয়ে বিজেপির এক বিধায়ক অবশ্য ওই তৃণমূল বিধায়কের পাশেই দাঁড়ালেন। তাঁর মন্তব্য, “সত্যিই দিন নেই রাত নেই, এই ঋণ নিন, ওই ঋণ নিন বলে ফোন চলে আসে।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমরা পাবলিক ফিগার। তাই আননোন নাম্বার থেকে ফোন এলেও সেটা ধরি। তবে এমন অনেক সময় হয়েছে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো মিটিং এ আছি, তখন এই ধরনের ফোন এসেছে। ধরার পরেই বুঝেছি। আর তারপরেই ওই নম্বর ব্লক করেছি।” তবে তৃণমূল বা বিজেপি দুই দলের বিধায়ক‌ই জানালেন, এইভাবে আর কত নম্বর ব্লক করবো। সত্যিই এই সমস্যা শুধু তো বিধায়কদের নয়, এই সমস্যা আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষদের‌ও।