Date : 2024-05-03

ডিহাইড্রেশনে ভুগছেন? আজ থেকেই বাদ দিন এই সমস্ত খাবার

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিক: গরমের দাবদাহ থেকে বাঁচতে ঘন ঘন নুন-চিনির শরবত খাচ্ছেন। তবুও শরীর খারাপ করছে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিস পৌঁছতে পৌঁছতেই যেন ক্লান্তি ঘিরে ধরছে শরীরে। গরমে যে খুব বেশি তেলমশলাদার খাবার খাচ্ছেন, তা-ও নয়। তাও যেন সারা দিন বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানোর, পেশিতে টান ধরার মতো উপসর্গগুলি দেখা দিচ্ছে শরীরে। গ্লাসের পর গ্লাস জল খেলেও শরীর ঝিমিয়ে পড়ছে। এমন কিছু খাবার আছে, যা গরমের সময়ে শরীরে জলের ঘাটতি আরও বাড়িয়ে দেয়।

শরীরে যে জলের ঘাটতি রয়েছে, এটাই অনেকেই বুঝতে পারেন না। এই অবস্থাকেই ‘সাইলেন্ট ডিহাইড্রেশন’ বলা হয়। আর ডিহাইড্রেশন হল এমন একটি অবস্থা, যেখানে দেহে তরলের ঘাটতি তৈরি হয়। অত্যধিক ঘেমে যাওয়া, ডায়ারিয়া, বমি, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান না করা এরকম নানা কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যখন দেহে জলের ঘাটতি তৈরি হয়, তখন সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ক্লোরাইডের মতো ইলেকট্রোলাইটেরও ঘাটতি তৈরি হয়। এই ইলেকট্রোলাইটগুলো দেহে কোষের কার্যকারিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, যখন শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায় এবং ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি তৈরি হয়, তখনই নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

এবার জেনে নেওয়া যাক ডিহাইড্রেশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

১. অনেকেই মনে করেন, ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বিভিন্ন খনিজ বেরিয়ে যাওয়ার ফলে একটু বেশি পরিমাণ নুন খেলে এই সময়ে কোনও ক্ষতি হবে না। এই অভ্যাস কিন্তু আদৌ ঠিক নয়। এতে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই কাঁচা নুন, নোনতা স্ন্যাক্‌স, নোনতা আচার গরমে না খাওয়াই ভাল।
২. এই সময়ে হালকা পাতলা খাবার খাওয়াই ভাল। কেবল বাড়িতেই নয়, অনুষ্ঠান বাড়িতেও বুঝেশুনে খেতে হবে। রেস্তরাঁয় এই সময়ে না খাওয়াই ভাল। এখন একদম বাদ দিন তেলমশলাযুক্ত খাবার
৩. গরমের দিনে রোদে বাইরে বেরোলেই আইসক্রিম, বরফের গোলা, নরম পানীয় খেতে ইচ্ছা করে, তবে অতিরিক্ত চিনি খেলেও শরীরে জলের ঘাটতি হয়। গরমের দিনে মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন কেক, পেস্ট্রি, চকোলেট এই সব না খাওয়াই ভাল
৪. এই গরমে ভাজাভুজি একেবারেই খাওয়া যাবে না। ভাজা জাতীয় খাবারও কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করতে পারে। এ ছাড়াও, গরমে এ সব খাবার হজম করাও বেশ কঠিন