কলকাতা: রাজ্যে একাধিক বিরোধীদল এখনও পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি।
বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়।
রাজনৈতিক সৌজন্যের কারণে বামফ্রন্টের তরফে প্রার্থী দেওয়া হয়নি বহরমপুর সহ রাজ্যে ৫ টি আসনে।
এখনও পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি কংগ্রেস।
কংগ্রেস এখনো রাজ্যে কটি আসনে লড়াই করবে তা স্পষ্ট নয়।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, ব্যরাকপুর আসনে ঋজু ঘোষাল, দক্ষিণ কলকাতা আসন থেকে মিতা চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে এআইসিসির তরফে।
২০১৪-এ ব্যরাকপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন ঋজু ঘোষাল।
কিন্তু দক্ষিণ কলকাতা আসন থেকে এবার নতুন প্রার্থী হিসাবে নাম প্রস্তাব করা হয়েছে মিতা চক্রবর্তীর, দলীয় সূত্রে খবর, তিনি মাত্র ছয় মাস আগে কংগ্রেসে যোগ দেন।
তার বদলে দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রদীপ প্রসাদকে প্রার্থী হিসাবে দেখতে চায় কংগ্রেসের একাংশের কর্মীরা।
অভিযোগ, শেষ মুহুর্তে তার নাম বাদ দেয় এআইসিসি।
সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং মায়া ঘোষের ঘনিষ্ঠ মিতা চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করা হয় ওই অঞ্চলের প্রার্থী হিসাবে।
এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেসের কর্মী সংগঠনের একাংশ।
প্রদেশ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া টিমের দায়িত্বে থাকা মিতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দক্ষিণ কলকাতা কংগ্রেসের আহ্বায়ক প্রদীপ প্রসাদ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এমনকি প্রার্থী বদল না হলে প্রার্থী বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মী সংগঠনের একাংশ।
এছাড়া মথুরাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী কৃত্তিবাস সর্দারকে নিয়েও দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।
কর্মীদের একাংশের প্রশ্ন যারা দীর্ঘ লড়াই করে কংগ্রেসের অস্তিত্বে টিকে আছেন তারা কেন প্রার্থী পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন?
প্রথম দফায় মনোনয়ন ইতিমধ্যে জমা পড়ে গেছে।
শুরু হয়েছে জোরকদমে প্রচার।
গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করতে দলের তরফে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।