কলকাতা: সারদা মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন রাজীব কুমার। শুক্রবার হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই আইনি পদক্ষেপ নিতেই পারে, সেক্ষেত্রে আদালতের পক্ষ থেকে আর কোন রক্ষাকবচ দেওয়া হবে না। অন্যদিকে ইকবাল আহমেদকে দিতে হবে কন্ঠস্বরের রেকর্ড। প্রসঙ্গত, সারদা মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে রাজীব কুমারকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআইয়ের তলবের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন রাজীব কুমার। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে সারদা মামলার রায়ে সুপ্রিমকোর্ট বলে, সারদাকাণ্ডের তদন্তের ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে। কারণ সারদাকাণ্ডে প্রভাবশালীদের যুক্ত থাকার সম্ভবনা ছিল, তাই এই ষড়যন্ত্রের মূল উৎপাটন করতে তদন্ত ভার সিবিআই-এর উপর পড়ে। কিন্তু আদালতে রাজীব কুমারের আইনজীবী তাঁকে তদন্তের নামে হেনস্থা করার অভিযোগ জানান সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। সিবিআই তাঁর ক্ষেত্রে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট করুক এমনটাই আদালতের কাছ চান রাজীব। উত্তরে আদালত তাঁকে জানিয়ে দেয়, রাজীব এখনও পর্যন্ত এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় নেই। শুধুমাত্র তদন্তের স্বার্থে তাঁকে তলব করা হলে তিনি তা কখনওই এড়িয়ে যেতে পারেন না।
রাজীব কুমারের টিমের একাধিক সদস্য সিবিআইয়ের তদন্তে সহায়তা করলেও তিনি কেন বারবার সরে যাচ্ছেন? ৫১ পাতার রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট এমনটাই জানিয়েছে। ফলে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা রইল না রাজীবের। তবে সুপ্রিম কোর্টেও তিনি কতটা সুবিধা করতে পারবেন তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শুক্রবার হাইকোর্টের রায় ঘোষণা হওয়ার পরেই ৩৪ নম্বর পার্ক স্ট্রীটে রাজীবের বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই-এর দুজনের একটি টিম। সেখানে গিয়ে শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে সিবিআই দপ্তরে রাজীব কুমারকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সিবিআই। যদিও সেই মুহুর্তে তিনি বাড়িতে উপস্থিতি ছিলেন না। কোথায় গেলেন রাজীব? শনিবার সকাল ১০ টায় তিনি কি আদৌ উপস্থিত হবেন সিজিও কমপ্লেক্সে? উঠছে প্রশ্ন!