Date : 2024-04-26

আদালতের হস্তক্ষেপেও বরফ গললো না ।অনশন চলবে, আদালতে জানালো আন্দোলনকারীরা

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার : R G KAR মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আন্দোলনরত চিকিৎসক ছাত্রছাত্রীদের সাথে আগামী ২৯শে অক্টোবর রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন সরূপ নিগমকে বৈঠকে বসেই বের করতে হবে সমাধানের পথ নির্দেশ হাইকোর্টের।বৃহস্পতিবার অবসারকালীন বিশেষ বেঞ্চে শুরু হয় মামলার শুনানি।যেখানে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল বলেন প্রিন্সিপালের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ চলছে।হাসপাতালের ভেতরে বিক্ষোভ হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনক। হাসপাতাল চিকিৎসা পরিষেবার জায়গা।মামলারীরপক্ষের আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত বলেন চিকিৎসকেরা চিকিৎসা দিচ্ছেন কিন্তু তাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইন্টার্ন বাজুনিয়া ডাক্তাররা কোন সহযোগিতা করছেন না। বহু মহিলা ডাক্তার রয়েছেন। বিক্ষোভ এর ফলে চিকিৎসকেরা আতঙ্কে রয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে এই ধরনের বিক্ষোভ অনভিপ্রেত। আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

বিচারপতি বসাক আপনি এডভোকেট জেনারেল অবিলম্বে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের খবর পাঠান। অতি দ্রুত তারা যেন আদালতে সশরীরে হাজির হতে পারে বা ভার্চুয়াল এর মাধ্যমেও আদালতের কাছে উপস্থিত হতে পারে। বেলা ২.৩০ আমি মামলাটি রাখছি যদি তার আগেই তারা উপস্থিত হতে পারেন তাহলে কোন অসুবিধা নেই। বিক্ষোভরত ছাত্রদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন।ভরা এজলাসে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়াদের সাথে সরাসরি তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে।কেন তাঁরা আন্দোলনের পথে এলেন।
পড়ুয়ারা জানালেন দীর্ঘ তিনমাস ধরে তাঁদের অনেক সমস্যার কথা কলেজ কতৃপক্ষের কাছে এবং হাসপাতালে শিক্ষকদের জানিয়েও কোন রকম সমস্যার সমাধান করা হয়নি।বরং তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে বলেও ভরা এজলাসের মধ্যে অভিযোগ জানান তাঁরা।

বিচারপতি বসাক জানতে চাইলেন কি ধরণের আন্দোল চলছে? মাইকিং করা, মিছিল করা?
এডভোকেট জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান সব ই আছে আন্দোলনে।যদিও এডভোকেট জেনারেল অভিযোগ উড়িয়ে চিকিৎসক ছাত্র ছাত্রীরা জানান কোন মাইকিং প্রচার চলছে না।

আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম আন্দোলন রত চিকিৎসক ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করবেন।চিকিৎসক ছাত্রছাত্রীদের অভাব অভিযোগ গুলি দায়িত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন।কারণ এঁরা আগামীর ভবিষ্যৎ।তাঁদের দাবি থাকবে।সেটাও বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে।
বিচারপতি প্রশ্ন কত দিন অনশন চলছে?
ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে জানান২০দিনে পড়েছে। বিচারপতি আমরা আন্দোলনের বিরুদ্ধে নয়।কিন্ত একজন চিকিৎসক এটা ভুলে গেলে চলবে না।আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছেন আমরা চাই আপনার আন্দোল তুলে নিন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্য ডিভিশন বেঞ্চ।
আন্দোলকারীরা জানান আমাদের আন্দোলন চলবে?
আন্দোলনের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।অন্য ভাবে করাও যায়।
আগামী২৯শে অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।বর্তমানে তিনজন রয়েছে অনশনে।
বিচারপতি বসাক বলেন আমি অপেক্ষা করতে রাজি আছি যাতে অনশন তুলে নেওয়া যায়।
চিকিৎসক পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের যারা অনশনে বসে আছেন তাঁদের আদালতের কক্ষ থেকে ফোন করা হচ্ছে।
বিচারপতিদ্বয়ের পিতৃসুলভ আচরণ আপনাদের সমস্যার সমাধান হবে আপনারা শুধু অনশন তুলে নিন আরজি করে আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীরা আদালতে জানালেন তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন আগামী ২৯ শে অক্টোবর এর আগে তারা কোন রকম অনশন আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসবে না।
বিচারপতি দেবাংশু বসাক সন্তানের মতো করেই বোঝানোর চেষ্টা করলেন আরজিকর এর জুনিয়র চিকিৎসকদের কিন্তু অনেক অনুরোধের পরেও আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রইলেন।