Date : 2024-04-29

কলেজস্ট্রিটের ফুটপাতে দেখা নেই সেই বইগুলির

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : ভালো নেই আসানুল্লা মিস্ত্রি, দীপঙ্কর দত্তের মতো পুরনো বই বিক্রেতারা। দুষ্প্রাপ্য বই যেমন পাওয়া যাচ্ছে না, ঠিক তেমনি এইসব বইয়ের খোঁজ করার মত বইপ্রেমি নেই। ফুটপাতেই পসরা সাজিয়ে বই বিক্রি করেন তাঁরা। সেই বইও নেই। নেই গ্রাহকও।

কলেজস্ট্রিট কলকাতার প্রধান বই প্রকাশনা ও বিক্রয় কেন্দ্র। তাই এই অঞ্চলটিকে বইপাড়া বলা হয়। কলেজস্ট্রিটে সারি সারি বইয়ের দোকান। যেখানে রোজকার বইয়ের বিকিকিনি চলে। তবে কলেজস্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটপাথ জুড়ে পাওয়া যাচ্ছে পুরনো বই। শুধু পুরনো বই বললে ভুল হবে। দুষ্প্রাপ্য ও দূর্মূল্য বই পাওয়া যায় বড় বড় দোকানে যখন পাওয়া যায় না। তখন ফুটপাতে বই বিক্রেতাদের কাছে খোঁজ করলে পাওয়া যায়। তবে হারাতে বসেছে এই সব দুষ্প্রাপ্য বই। কারণ গ্রাহক বা বই প্রেমি কমে যাচ্ছে এমনটাই জানালেন বই বিক্রেতা আসানুল্লা মিস্ত্রি। যিনি ৪০ বছর ধরে এই ফুটপাতে বই বিক্রি করে আসছেন বিক্রেতা আসানুল্লা মিস্ত্রি ।

বইয়ের পাতায় যে দাম থাকে সেই দামে বিক্রি হয় না এই পুরনো বা দুর্মূল্য বইগুলি। বইয়ের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে দাম। এখন অনলাইন ব্যবসায় আসায় পুরনো বা দুষ্প্রাপ্য বই পেতে সুবিধা হয়েছে বইপ্রেমীদের এমনটাই জানান বিক্রেতা দীপঙ্কর দত্ত।

দুর্মূল্য বইয়ের সংখ্যার পাশাপাশি এই বই বিক্রেতাও কমে যাচ্ছে বলে বক্তব্য সায়ন্তন মণ্ডল নামক এক বই প্রেমির। তিনি জানান যারা অনুরাগী তারাই পুরনো বই বিক্রি করে চলেছেন আজও। বড় দোকানে বইয়ের নামের পাশাপাশি লেখকের নাম বলতে হয়৤ যেখানে এইসব বই বিক্রেতাদের কাছে লেখকের নাম বলতে হয়না। বইয়ের নাম শুনে বার করে দেন।

মোবাইল হোক বা অনলাইনে বই বিক্রি দুইয়ের ফলায় কমে যাচ্ছে বইপ্রেমিদের সংখ্যা। পড়াশোনার বইতো কিনতেই হবে। কিন্তু যেসব বই জ্ঞানের জন্য, অজানাকে জানার জন্য, গল্পের বই, ডিটেক্টিভ বই- এই সব বই পড়ার লোক পাওয়ায় দুর্মূল্য বলে জানাচ্ছেন বই বিক্রাতারা।