Date : 2024-05-09

মাধ্যমিকের আগে বিষয় ভিত্তিক কাউন্সেলিং এ যোগ দিতে পেরে খুশি পরীক্ষার্থীরা

নাজিয়া রহমান, রিপোর্টার : ৭ মার্চ থেকে শুরু হবে ২০২২ এর মাধ্যমিক। করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনলাইনে ক্লাস চললেও অনেক সময় নেটওয়ার্ক সমস্যায় তাতে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুরু হয়েছে অফলাইনে পঠনপাঠন। তবে যারা ২০২২ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তারা মাত্র হাতে গোনা কিছুদিন অফলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছে। ছাত্র জীবনের সবচয়ে বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক। তবে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার জন্য পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপও বেড়েছে বলে মত শিক্ষক মহলের। পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ভীতি ও মানসিক চাপ কমাতে রবিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিষয় ভিত্তিক কাউন্সেলিং এর আয়োজন করা হয়েছিল। সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাই স্কুলে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

করোনা আবহে এই কর্মসূচি র আয়োজন করা হওয়ায় কোভিড বিধির উপর একটু বেশি জোর দেওয়া হয়েছিল। শহর কলকাতার হাতে গোনা কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়ারা এই কাউন্সেলিং -এ অংশগ্রহণ করেছিল। তবে এবার শুধুমাত্র অফলাইনেই নয়, যারা এদিনের ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেনি তাদের জন্য অনলাইন মাধ্যমটিকেও বেছে নেওয়া হয়েছে। এদিনের কর্মসূচিটি সম্পূর্ণ রের্কড করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নও সংগ্রহ করা হয়েছে। যার উত্তরও থাকবে ওই রেকর্ডে। রাজ্যের প্রতিটি সরকারি স্কুলে সেই রেকর্ড পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এতে পরীক্ষার্থীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মত এই শিক্ষক সমিতির সদস্যরা।

এদিন বিষয় ভিত্তিক কাউন্সেলিং-এ প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টারগুলি নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিষয়ভিত্তিক যে বিভাগগুলি নিয়ে পড়ুয়াদের জটিলতা ছিল সেগুলি সহজ সরল করে পরীক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়। শাখাওয়াত মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার মতে, এতদিন পর ঘর থেকে বেরিয়েই এই পরীক্ষার্থীরা দিতে চলেছে জীবনের বড় পরীক্ষা। এই জায়গাটা তাদের তৈরী করে দিতে হয়। টেস্ট পরীক্ষা দিয়ে ওরা অনেকটাই বুঝেছে ওরা কতটা পিছিয়ে আছে। এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে ওরা আসতে আসতে উত্তির্ন হতে পারছে। সেই জন্য এই ধরনের কর্মসূচি খুব গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু জানান, করোনার জন্য বেশি সংখ্যক পড়ুয়া এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। অন্য বছরের তুলনায় এবারের কাউন্সেলিং একটু আলাদা। এই সমস্ত পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কমানোটা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই প্রতিটি বিষয় ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকারা পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানোরও পাঠ দিয়েছেন। এদিনের এই কর্মসূচি বেলা ১০.৩০ থেকে শুরু হয়, চলে দুপুর ৩.৩০ পর্যন্ত। এদিনের এই কাউন্সেলিং-এ যোগ দিতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা।