রিমিতা রায়, নিউজ ডেস্ক : শীত পড়লেই অনেকেই জল খাওয়া কমিয়ে দেন। কাজের ফাঁকে অনেকে ভুলেই যান জল খাওয়ার কথা। আর তাতেই ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ।শীত পড়লেই আমাদের ত্বক, বিশেষ করে ঠোঁট কেমন যেন একটু শুকনো শুকনো লাগতে শুরু করে। ঠান্ডা বাড়লেই সেই সমস্যা আরও বাড়ে৷ শীতের মরশুমে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় আমরা কম বেশি সবাই ভুগি৷ তার ওপর শীতে বেশিরভাগ সময়তেই জল খাওয়া কম হয়ে যায়৷ জল তেষ্টা পায় না বলে জল খাওয়া আর হয়ে ওঠে না। এতেই নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ এর ফলে ত্বক আরও ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারে৷ তাই শীতকালেও পর্যান্ত পরিমাণে জল মনে করে খেতে হবে। অনেকের শীতে ঠান্ডা জল খেতে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে যদি ঠাণ্ডা জল খেতে না ইচ্ছে করে, তাহলে জল অল্প একটু গরম করে নেওয়া যেতে পারে। শরীরকে সতেজ রাখতে ফলের রস খাওয়া যেতে পারে। তাতে তেষ্টাও মেটে।
শীতে শরীর ভালো রাখতে খাওয়া যেতে পারে স্যুপ। । অন্তত ৮ গ্লাস জল আপনাকে একদিনে খেতেই হবে। জল সহ অন্যান্য ফ্লুইডও খেতে হবে। যাতে কোনওভাবেই জলের ঘাটতি না হয়। শীতকালে ডিহাইড্রেশন থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন। ব্যায়াম করলে তার আগে ও পরে আরও বেশি পরিমাণ জল খান। শুধুমাত্র জল খেলেই হবে না। একইসঙ্গে যে সব ফল ও সবজিতে শরীরে জলের ঘাটতি মেটে, সেই ধরনের ফল ও সবজিও আপনাকে খেতে হবে।শীতে যদি আপনার ঠান্ডা জল খেতে কষ্ট হয়, তাহলে গরম চা, ভেষজ চা বা গরম কফিও আপনি খাওয়া যেতে পারে। বা জল হালকা গরম করে ফ্লাস্কে রেখে দিতে হবে। সেই জলই বারবার খান। এতে আপনার শরীরে জলের ঘাটতিও হবে না। আপনাকে ঠান্ডা জলও খেতে হবে না।