Date : 2024-04-26

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘ককটেল’ টিকায় সায় ইউরোপে

রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্কঃ কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা টিকা নির্মাতা সংস্থা। এই সংস্থার তৈরি ককটেল প্রতিষেধক ডোজ় ‘এভুশেল্ড’-কে অনুমোদন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ‘দ্য ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি’। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির ওষুধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে সংস্থাটি। এ বার চূড়ান্ত অনুমোদন আদায়ের জন্য এই প্রস্তাব যাবে ইউরোপীয় কমিশনের কাছে। যা পেলে ২৭ সদস্য-দেশের বাজারে তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে। গত ডিসেম্বরেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য আমেরিকার তরফে অনুমোদন পেয়েছে এই সংস্থা। যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাঁরা তো বটেই, অন্য টিকা নিয়ে যাঁদের শরীরে বিরূপ প্রভাব দেখা দিয়েছে, তাঁরাও অনায়াসে এই টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়, কমপক্ষে হাজার পাঁচেক মানুষকে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ভ্যাকসিন ডোজ় দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৭%-এর প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এই ককটেল টিকার কার্যকারিতা প্রায় ছ’মাস পর্যন্ত থাকে বলেও উঠে এসেছে ওই রিপোর্টে। তবে এই পরীক্ষা যাঁদের উপর চালানো হয় তাঁদের কোনও দিন কোভিড হয়নি এবং কোনও টিকা বা অন্য কোভিড প্রতিরোধক তাঁরা নেননি বলেই জানায় ইএমএ।

এইবটিকাটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কি আদৌ কার্যকর হবে? ইএমএ জানিয়েছে যে, অন্য পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ওমিক্রনের বিএ.২ ভেরিয়েন্টের উপর এভুশেল্ডের মূল দুই উপাদন টিক্সাজেভিম্যাব এবং সিলগাভিমাবের প্রভাব খানিকটা দেখা গেলেও বিএ.১ ভেরিয়েন্টের উপর এই দুই অ্যান্টিবডির প্রভাব নগন্য।