Date : 2024-04-26

কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে এই প্রথম প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে এই প্রথম প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,রিপোর্টার: কলকাতা হাইকোর্টে নজিরবিহীন ঘটনা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তেরডিভিশন বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যের প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপের সুপারিশ জানিয়েপ্রশাসনিক নির্দেশ জারি করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

রাজ্যের নবম-দশম গ্রুপ ডি গ্রুপ সি সহ একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় কখনো সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কখনো বা সিবিআই অনুসন্ধানে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু বারবার সেই নির্দেশ অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনেরডিভিশন বেঞ্চ।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতি কাজ করতে পারবে কিনা, তাই খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিক দেশের প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার জেনারেল কে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দুই প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে এই রায়ের কপি ।গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি এবং নবম দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে অনুসন্ধান নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ দিয়েছে এবং
এসএসসি উপদেষ্টা এস পি সিনহার নির্দেশ যেভাবে মডিফাই করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ মনে করছে,
দুর্নীতিগ্রস্তদের সুযোগ দিতেই এমন পদক্ষেপ করছে ডিভিশন বেঞ্চ।
সরকারি চাকরিতে দুর্নীতি খুঁজে বার করতে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে একক বেঞ্চের হাত।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ বিচারের নামে দ্বিচারিতা করছে।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ডিভিশন বেঞ্চে গ্রুপ সি-ডি মামলার শুনানি চলাকালীন একজন আইনজীবী মন্তব্য করেন…
“কথা হয়ে গেছে স্থগিতাদেশ হয়ে যাবে”
জুম প্লাটফর্মে ভিডিও কনফারেন্সের অডিও রেকর্ড চেয়ে অনেক আইনজীবী আবেদন করেছেন।
একক বেঞ্চ ও চাইছে ওই অডিও রেকর্ডিং খতিয়ে দেখতে।এছাড়াও মঙ্গলবার বিকেলে আমার চেম্বারে একজন যান এবং এসএসসি উপদেষ্টা মামলার বিষয়ে।তাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে আমার এই প্রশাসনিক রায়। ভারতের প্রধান বিচারপতি ও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তদন্তের খাতিরে যদি আমাকে ডেকে আমার চেম্বারে আসা ব্যক্তির নাম জানতে চান আমি সেই নাম বলতেও রাজি আছি। কিন্তু এই প্রশাসনিক রায়ে আমি ওই নাম উল্লেখ করছি না।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করার পরেই হাইকোর্টের আইনজীবী মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ এই ধরনের নির্দেশ এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দিয়েছেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে সন্দিহান।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আবেদন কলকাতা হাইকোর্টের ইতিহাসে প্রথম বলেই মনে করছেন একাংশ।