Date : 2024-04-26

কাঁথি পুরসভা ভোটের গণনায় হস্তক্ষেপ নয়,তবে চুড়ান্ত নির্দেশের ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের ভবিষ্যৎ : হাইকোর্ট

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, রিপোর্টার :- কাঁথি পুরসভা মামলায় মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি নির্দেশদেন সমস্ত সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ফুটেজ সংরক্ষণ রাখতে হবে কমিশনকে। গণনা বাতিলের যে আবেদন করা হচ্ছে আদালত এখনই তাতে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। বুধবার গণনা হবে। তবে ফল বেরনোর পরও আদালতের নির্দেশ প্রভাব ফেলবে। অর্থাৎ যদি মামলাকারীর আবেদন সঠিক হয় আদালতের চোখে, তখন আদালত ওই ভোটের ফল বাতিল করতে পারে।

জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী পরমজিৎ সিং পাটোয়ালি আদালতে জানান, সুষ্ঠু ও অবাধে হয়নি কাঁথি পুরসভার ভোট। নতুন করে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর আবেদন জানান। তাঁর দাবি, ওই পুরসভায় ৯৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। তার মধ্যে ৯১টি ভাঙা হয়েছে। অনেকগুলি ক্যামেরা কাজ করেনি।
বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ ছিল শান্তিপুর্ন নির্বাচনের।কিন্তু কাঁথি পুরসভার নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কাজ করেনি।আদালত বারবার কেন্দ্রীয় বাহিনী ভনিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশন কে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু বারবার হিংসার ঘটনা ঘটেছে।একের পর এক নির্বাচনে।
আমরা বারবার আইনের সাহায্য চেয়েছি, আদালতে এসেছি সুষ্ঠু ভোট চেয়ে। আর রাজ্য বারবার বলেছে কিছুই ঘটেনি।
নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার হাতে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ভোট সামগ্রি অডিট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি ছেলে সুপ্রকাশ গিরি প্রকাশ্যে হুমকিযেমন দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি তৃণমূলের দুষ্কৃতিদের তরফে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বিকেল ৫টে পর্যন্ত।
বুথ দখল করা হয়েছে সর্বত্র কাঁথি পুরসভার।
একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি কমিশনের তরফে। পুলিশের তরফেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে মঙ্গলবার আদালতে তুলে ধরেন ভারতীয় জনতা পার্টি।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করেছে। আদালতের নির্দেশ মত অবজারভার নিয়োগ করেছে।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন কমিশনের আইনজীবীকে আপনার অভিযোগ গুলো সঠিক কি না কিভাবে পর্যালোচনা করেছেন?
কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র উত্তরে জানান সি সি টিভি ফুটেজ দেখে অবজারভাররা সিধান্ত নিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ১০৮টি পুরসভাতে জয়েন্ট সেক্রেটারি রাঙ্কের অফিসার পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন ।
আইএএস অফিসার রাঙ্কের অফিসার ১৬ জন পর্যবেক্ষক ছিলেন।
কমিশনের হয়ে এরাই ফিল্ড ওয়ার্ক করেন। আগে আদালত দেখুক বিজেপি প্রার্থীদের অভিযোগ সত্য কিনা।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন সিসিক্যামেরা কাজ করেছিলো সব?
কমিশনের কাছে কি উত্তর আছে?
কমিশন সিসিক্যামেরা অডিট জন্য নিরপেক্ষ কোন সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে?রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র জানান, আমাদের কিছু সময় দরকার। যে অভিযোগগুলি উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা আইএএস অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছিলাম। অনুসন্ধান করে তাদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে বলা সম্ভব।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় তিনিই সময় চেয়ে আদালতে জানান মামলা বিচারাধীন তাই তাঁদের কিছু সময়ের প্রয়োজন আছে।
এই মামলায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে যুক্ত করা হয়েছে। সিসিটিভি অডিটের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা থাকবে। আগামী ৭ই মার্চের মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হলফনামায় তাঁরা জানাবেন বিজেপির অভিযোগ সঠিক কিনা,
মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ই মার্চ নির্দেশ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের।