Date : 2024-04-26

থাইরয়েডের ওষুধ খেয়েও ফল মিলছে না? জেনেনিন সঠিক নিয়ম

রিমা দত্ত, নিউজ ডেস্কঃ একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন যতই সচেতন থাকুন না কেন, ওজন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। চুল ঝরছে অকালে, ত্বক হয়ে উঠছে জৌলুসহীন। কর্মব্যস্ত জীবনে ছোটখাটো এই শারীরিক সমস্যাগুলি আমরা প্রায়ই এড়িয়ে যাই। কিন্তু এই প্রত্যেকটা লক্ষণের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে থাইরয়েড। সময় থাকতে থাইরয়েডের চিকিৎসা না করালে, তা বড় আকারও ধারণ করতে পারে। থাইরয়েডের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, কিন্তু সামান্য খেয়াল রাখলেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা যেতে পারে।চিকিত্‍সকদের মতে, সকালে খালি পেটে থাইরয়েডের ওষুধ খেলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। খাওয়ার পরে বা খাবারের সঙ্গে এই ওষুধ খেলে শরীরে সঠিক ভাবে তা শোষিত হয় না। ফলে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার সময় কী কী নিয়ম মেনে চলা উচিত?
১) এই ওষুধ খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে কিছু না খাওয়াই ভাল। এমনকি চা, কফিও না!
২) থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যালশিয়াম রয়েছে এমন কোনও খাবার খাবেন না।
৩) এই ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে একটা বাঁধাধরা সময় মেনে চলাই ভাল। সকালের ৮টার ওষুধ যেন রোজ ৮টাতেই খাওয়া হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। সকালে ওষুধ খেতে যদি কোনও দিন ভুলে যান তা হলে দুপুরের খাবারের দু’ থেকে আড়াই ঘণ্টা পর ওষুধ খেতে পারেন।

৪) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ওষুধটি সারা জীবন ধরে খেয়ে যেতে হয়। তাই পরীক্ষায় হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হলেও ওষুধ বন্ধ করে দেওয়া যাবে না।

থাইরয়েড গ্রন্থিটি আমাদের গলায় শ্বাসনালির সামনের দিকে অবস্থিত। এই গ্রন্থি থেকে দু’প্রকার হরমোন টি-থ্রি ও টি-ফোরের ক্ষরণ হয়। আমাদের শরীরের রক্তে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় এই হরমোন থাকে। থাইরয়েডের সমস্যা প্রধানত দুই ধরনের হয়। হাইপারথাইরয়েডিজমে রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর হাইপোথাইরয়েডিজমে রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ কমে যায়।