Date : 2024-04-26

বঙ্গের দুয়ারে দোল উত্সব। লক্ষ্মীর আশায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন রং বিক্রেতারা।

শাহিনা ইয়াসমিন, রিপোর্টার : বসন্ত উত্সবে রঙ না খেলে কি থাকা যায়। করোনার জন্য থমকে গিয়েছিল অনেক কিছুই। তাই এবার চুটিয়ে রঙ খেলার জন্য প্রস্তুত অনেকেই। অন্যদিকে পসরা সাজিয়ে বসে আছেন প্রস্তুতকারক থেকে বিক্রেতারা। দোল উত্সব উপলক্ষে হাতিবাগানে সেই ছবি ধরা পড়ল। সামনেই দোল ও হোলি উত্সব। দোলের জন্য বাজার ছেয়ে রয়েছে বিভিন্ন রঙের আবিরে। কি রং নেই তাতে ? সব রঙে রাঙিয়ে তুলতে তৈরি, প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতারা। দোলের জন্য গোলাপী, লাল, সবুজ, কমলা, হলুদ সহ বিভিন্ন আবির যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে খেলার নানান রঙ।

শুধু রঙ বা আবির নয়, রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মুখোশ, পিচকারি, চশমা, টুপি। তবে যারা রঙ খেলতে পছন্দ করেন না তাদের সেলিব্রেশনের জন্য রয়েছে কালারফুল ফোম, সেল। যা বাজারে নতুন এসেছে। আবির ও রঙ দুইয়ের চাহিদা রয়েছে। তবে হাইজিন নিয়ে মানুষ সচেতন হওয়ায় হারবাল প্রোডাক্ট বা আবিরের চাহিদা তুলনামূলক বেশি বলে দাবি বিক্রেতা সুমন ছেত্রী ও সার্বণ সিং । দামের সেরকম হেরফের হয়নি। প্যাকেট আবিরের পাশাপাশি খোলা আবিরও পাওয়া যাচ্ছে। ১০০ গ্রাম খোলা আবিরের দাম ১৫ টাকা। ১০০ গ্রাম প্যাকেট আবিরের দাম ৩০ টাকা। শিশির রঙের দাম ৪০ টাকা থেকে শুরু। ফোম, সেলের দাম ৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।

স্কুল কলেজ খুলে যাওয়ায় পড়ুয়াদের ভিড় দেখা গেল রঙের বাজারে। করোনার জন্য বসন্ত উত্সব পালন করতে না পারায় মন খারাপ হয়েছিল বলে জানান পড়ুয়া অদিতি সাধু। তাই এবছর লাল, সবুজ, হলুদ আবির কিনতে ব্যস্ত তারা। দাম সেরকম বাড়েনি বলে দাবি ক্রেতা বিশ্বজিত্ ঘোষের।
গত দুবছর দোলের সময় বাঁধ সেধেছিল করোনা। তাই এবার লক্ষ্মীর আশায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন রং বিক্রেতারা। বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।