দেশে ফের লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। বুধবারের প্রকাশিত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২,০৬৭ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই ৬৬ শতাংশ বেড়েছে করোনা আক্রান্ত। এতেই আবার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার কি লকডাউন? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে দিল্লি নিয়ে একটু বেশি চিন্তিত কেন্দ্র।দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায়, সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও কমেছে। তবে তাতেই এখনই স্বস্তি পাচ্ছেনা প্রশাসন। দিল্লিতে ৪৩ শতাংশ কমেছে সংক্রমণের হার। তবে রাজধানীতে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যা নিয়ে চিন্তিত কেজরিওয়াল সরকার। সংক্রমণ বাড়ছে তাই ফের মাস্ক বাধ্যতামূলক হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এবার বাদ রইলো না দিল্লিও। করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে বুধবার বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।দিল্লির উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজাল, উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, রাজস্ব মন্ত্রী কৈলাশ গাহলট এবং স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই মাস্ক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধু তাই নয় মাস্ক না পড়লে কঠোর নিয়মের কথা ভাবছে প্রশাসন। মাস্ক না পড়লে দিতে হবে জরিমানা। এমনই নির্দেশিকাও জারি করেছে দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদেরই নয়, শিশু, কিশোর-কিশোরীদেরও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দিল্লিতে। মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা জরিমানাও হতে পারে। করোনা নিয়ে চিন্তিত যোগী সরকারও। উত্তরপ্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগর, গাজিয়াবাদ, হাপুড়, মিরাট, বুলন্দশহর, বাগপত এবং লখনউতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।এমনকি যারা টিকা নেননি তাদের যত দ্রুত সম্ভব টিকা নেওয়ার নির্দেশিকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.