পৌষালি সেনগুপ্ত, নিউজ ডেস্ক :-ইউক্রেনের রাজধানী কিভে আসেন আমেরিকার বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা সচিব।সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতেই তাঁদের এই আগমন বলে জানা গিয়েছে।যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমেরিকার এই পর্যায়ের কোনও প্রতিনিধি ইউক্রেন আসেননি। তাঁদের আগমন বার্তা জানিয়ে উৎসাহিত প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীকে বলেছেন, ‘‘এ বার আমরা দখলদারদের হঠাতে সক্ষম হব।’’ যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরে থেকেই পশ্চিমী দেশগুলির থেকে সামরিক সাহায্যে চেয়ে এসেছেন জেলেনস্কি। সাহায্য এসেছে তবে আর্থিক রূপে বা রাশিয়াকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে।এই প্রথম আমেরিকা সরাসরি সামরিক সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে কিভে উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে।আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন পশ্চিমী দেশগুলির থেকে ভারী অস্ত্র সাহায্য পাওয়ার আশ্বাস মিলতেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে জেলনস্কির।এই অস্ত্র সাহায্যের মধ্যে থাকছে, ট্যাঙ্ক, ড্রোন, সাঁজোয়া গাড়ি এবং প্রচুর গোলা বারুদ।যুদ্ধ পরিস্থিতিতেই কিভে পুনরায় দূতাবাস খোলার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন। তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিতে আগামী সপ্তাহে মস্কো যেতে পারেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি চাইছেন মুখোমুখী বসে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে কথা বলতে। এদিকে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতি নিয়ে আগে থেকেই রাষ্ট্রসংঘের তোপের মুখে রাশিয়া। তবে রাশিয়াও ডোন্ট কেয়ার মানসিকতা নিয়েই তাঁর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মারিয়ুপোলকে স্বাধীন ঘোষণা করেছে রাশিয়া। সেখানে আটকে থাকা মানুষজনদের সেখান থেকে মানবিক করিডর করে নিরাপদে বের করে আনাই প্রধান লক্ষ্য। এদিকে আগ্রাসনের ঝাঁঝ ক্রমশই বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া।
Facebook
Instagram
Twitter
Rplus is most proud of how its work impacts the real world and how it is using its powerful reach to campaign for and with the people of Bengal.