Date : 2024-04-25

ঈদের ছুটিতেও লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তর পুনর্বিবেচনার আর্জি শুনলো কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক :- সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে খুশির ঈদ। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি কিন্তু আইন- আদালতে কোনো ছুটি নেই তাইতো মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ছুটি থাকলেও বসলো বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বিশেষ বেঞ্চ লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম অভিযুক্ত নঈমের আবেদন শুনলো বিশেষ বেঞ্চ।

২০১৮ সাল থেকেই দিল্লির তিহার জেলে বন্দীর ছিল নঈম ঠিকানা।তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ,রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নাশকতা এবং স্লিপার সেল হিসেবে কাজ করার মতো মারাত্মক অভিযোগে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এন আই এর।সেই অভিযোগে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। দিল্লিতে নঈমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগ ছিল।লস্কর-ই-তৈবা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ফাঁসির সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল শেখ আব্দুল নাইম।

২০০৭ সালে পাকিস্তান হয়ে বেনাপোল দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গী সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্য। যাঁদের ছিল শেখ আব্দুল নাইম। প্রথম বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স অর্থাৎ বিএসএফের হাতে গ্রেপ্তার হয় তারা। বিএসএফ তারা বেনাপোল পুলিশের হাতে তুলে দেন। দীর্ঘ বছর ধরে মামলা চলে বনগাঁ আদালতে।২০১৮ সালে বনগাঁ আদালত শেখ আব্দুল নাঈম কে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন।

বনগাঁ আদালতে ফাঁসির সাজা ঘোষণার পরেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এএনআই নঈম সহ বাকি অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেন। কারণ ভারতবর্ষে বেশ কয়েকটি রাজ্যে দিল্লির মহারাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা। যে কারণে এতদিন পর্যন্ত তিহার জেলে বন্দি ছিল লস্কর-ই-তৈবা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা।

মামলার শুনানি পর্ব শুরু হতেই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গী নঈম নিজে কোনো আইনজীবী নেননি তবে তার আচার-আচরণ কথাবার্তা এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না সে যথেষ্ট শিক্ষিত। আদালতে বিশেষ করে কলকাতা হাইকোর্টে প্রতিটি আইনজীবী থেকে বিচারপতি ইংরেজিতে তাদের আইনি ব্যাখ্যা যেমন তেমনই দেখতে পাওয়া গেল নো ইমো সেভাবেই আইনজীবিদের মতনই ইংরেজিতে আইনি ব্যাখ্যা দিলেন স্বপক্ষে। তিহার জেলে শেয়ার থাকতে চায় না তাকে রাখা হোক কলকাতার কোন সংশোধনাগারে এই আবেদন নঈম নিজেই আদালতের কাছে রেখেছিল। তবে সরকার পক্ষের আইনজীবী পার্থসারথী ঘোষ তিনি আদালতে দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান একজন অভিযুক্ত কখনোই তিনি নিজে ঠিক করে নিতে পারেন না তাকে কোন সংশোধনাগারে রাখা হবে। কারণ নঈমের বিরুদ্ধে জেল থেকে দু-দুবার পালিয়ে যাওয়ার মতন অভিযোগ রয়েছে।

তবে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি অভিযুক্তের পক্ষে রাজ্যের সার্ভিস এর পক্ষ থেকে যাতে একজন আইনজীবী তাকে দেওয়া হয় সেই মর্মে যেমন নির্দেশ দিয়েছেন তেমনি আগামী দিনে শুনানির জন্য লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম সদস্য শেখ কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশ দেন বিশেষ বেঞ্চ। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ ই মে।