Date : 2024-04-30

গরমের গুঁতোয় নাজেহাল কলকাতাবাসী, বইয়ের দোকান থেকে শুরু করে খাবারের দোকান, জামাকাপড়ের ব্যবসা লাটে

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গ। তাপমাত্রার অকল্পনীয় সীমা অতিক্রম করায় কিছু অঞ্চলে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। তার ফলে প্রভাব পড়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। প্রচন্ড গরমের প্রভাব পড়েছে খাওয়াদাওয়ার দোকান থেকে শুরু করে জামাকাপড়ের দোকান, বইয়ের দোকানেও।


দাবদাহে পুড়ছে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ। গ্রীষ্মের গরমে নাজেহাল সর্বস্তরের মানুষ। এই অতিরিক্ত গরমের প্রভাব পড়েছে কলেজস্ট্রিটেও। বই বাজার থেকে শুরু করে খাওয়াদাওয়ার দোকান, কাপড়ের দোকানে বিক্রেতারা বসে আছেন। কোনও ক্রেতা নেই। বইপাড়ায় ঢুঁ মেরে দেখা গেল বেশিরভাগ বইয়ের দোকান ফাঁকা। থরে থরে বই সাজানো থাকলেও বইপ্রেমীরা উধাও। কিছুদিন আগেও অনেক দূর থেকেও বইয়ের খোঁজে বইপাড়ায় মানুষ আসতেন। কিন্তু গত একসপ্তাহে গরমের কারণে সেভাবে ক্রেতা আসছে না। স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আরও ক্রেতা কমবে বলে জানাচ্ছেন বইবিক্রেতারা। শুধু যে বইয়ের দোকান তা নয়। কলেজস্ট্রিটে বিভিন্ন ধরণের সস্তার খাবারের দোকানও রয়েছে।

স্কুল- কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অফিস কাছারির লোকেদেরও ভিড় জমে ওঠে খাবারের দোকানে। চাউমিন, মাছ-ভাত, পরোটা আলুরদম সহ বিভিন্ন খাবার বিক্রি হয় এই চত্বরে। জালানির দামের পাশাপাশি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেলা বারোটা পর্যন্ত খাবারের দোকানে লোক দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে টিকিটুকুও দেখা যাচ্ছে না বলে বক্তব্য দোকানদারদের। একই হাল কাপড় ও কসমেটিক ব্যবসায়। জালানির দামের কারণে জিনিসপত্র দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং তার উপর প্রচন্ড গরমে ফাঁকা দোকানে বসে আছেন দোকান মালিকরা। সকাল থেকে দোকান খুললেও বউনি হচ্ছে বিকেলের দিকে। বৈশাখের মাঝপর্বে তাপমাত্রার পারদ চড়া। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চাতক পাখির মতো বৃষ্টির অপেক্ষায় কলকাতা। বৃষ্টি হলে এবং তাপমাত্রা কমলে যদি মানুষ বাজারমুখী হন সেই আশায় বিক্রেতারা।