Date : 2024-04-25

প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবজ্ঞা করলেও অধ্যাপকের পাশে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : এক সময় রাজ্যের বিভিন্ন কলেজগুলিতে অধ্যাপক এর অভাবে অতিথি অধ্যাপক নিয়েই কলেজের পঠন পাঠন সচল রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ গুলি। রাজ্যের নামজাদা কলেজগুলির সেই তালিকার বাইরে ছিল না।

অতিথি অধ্যাপক দের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল কলেজগুলি আর নতুন করে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগ করতে পারবেন না তবে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অতিথি অধ্যাপক যদি নিয়োগ করতে হয় তাহলে অবশ্যই উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে কলেজ কর্তৃপক্ষ গুলিকে।

রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও ২৩ শে ডিসেম্বর ২০১৯ সালে একটি নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকায় সমস্ত অতিথি অধ্যাপক যারা এই সময়কালে কর্মরত রয়েছেন তাদের চাকুরীর নিরাপত্তা এবং বেতন কাঠামো তৈরি করে প্রতিটি কলেজের প্রিন্সিপালকে নির্দেশ পাঠানো হয় যে তাদের নিজস্ব কলেজে কর্মরত অতিথি অধ্যাপক এর নাম(DPI) ডাইরেক্টর অফ পাবলিক ইনস্ট্রাকশন এডুকেশন ডিরেক্টরেট কাছে পাঠাতে হবে। যাতে করে বিভিন্ন কলেজের অতিথি অধ্যাপকরা ২০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা বেতন পেতে পারেন এবং অবসরকালীন ৫ লক্ষ টাকা পেতে পারেন।

মামলাকারী অধ্যাপক গোপাল অধিকারি ২০১৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর কলেজ অটোনমাস এডুকেশন বিভাগে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ হয়েছিলেন। সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে মামলাকারী গোপাল অধিকারি কর্মরত অবস্থায় থাকাকালীন হে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও নির্দেশিকা জারি করেছিল কিন্তু এই কলেজ কর্তৃপক্ষ তার নাম উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের পাঠাননি বলে অভিযোগ।
অধ্যাপক গোপাল অধিকারি রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তর কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি মেদনাপুর কলেজ অটোনমাস এর প্রিন্সিপাল এর বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন আইন সঙ্গতভাবে ২৩ শে ডিসেম্বর ২০১৯ সালের উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা গোপাল অধিকারি তার সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। এবং সরকারি অনুমোদিত অতিথি অধ্যাপক হিসেবেই সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য।
বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র নির্দেশ দিয়েছেন মামলাকারী অধ্যাপক গোপাল অধিকারি সরকারি নির্দেশিকা মেনে সমস্ত সুযোগ সুবিধা থেকে কোনভাবেই তাকে বঞ্চিত করা যাবে না। আগামী এক মাসের মধ্যে ডিপিআই কে নির্দেশ দেন বিষয়টি বিবেচনা করে মামলাকারীর প্রাপ্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে।