Date : 2024-04-28

শিশু মৃত্যু কি ডেঙ্গুতে!চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে স্বাস্থ্য দফতর।কর্মীদের গাফিলতি প্রমাণ পেলে কঠোর পদক্ষেপ জানালো KMC

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : ৫ দিনের জ্বরে সব শেষ। রা আগস্ট বাইপাসের ধরে এক বেসরকারি হাসপাতালে বিশখ মুখোপাধ্যায় ভর্তি হয়। ২রা অগাস্ট রাতে তার ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়। ৩রা অগাস্ট রাতে তার ডেঙ্গু পজিটিভ ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার তার অস্বমিক মৃত্যু হয় যা খুবই দুঃখজনক বলে জানালেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।

এদিন পুরসভায় অতিন ঘোষ জানান বেসরকারি হাসপাতালের মৃত্যু সংশপত্রে ডেঙ্গু শক বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এই রিপোর্ট পাওয়ার পর কলকাতা পৌর সংস্থার প্রাথমিক ভাবে যে বিভাগীয় যে তদন্ত পাওয়া গেছে যে ওই অঞ্চলে একটা উন্নয়নমূলক কাজ চলেছে। যেখানে স্বাস্থ্য বিভাগের ভেক্টর কন্ট্রোল টিম ও সেন্ট্রাল ভেক্টর কন্ট্রোল টিম কাজ করছে। এটা দুর্ভাগ্য যে শিশুটি মারা গেছে তার বাড়ির সামনে পৌর সংস্থার স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল। কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষ থেকে বারবার মানুষ কে সচেতন করা হয়েছে। কিন্তু এই শিশু ক্ষেত্রে কোনো রকমের সূচনা স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে দেওয়া হয়নি বলে জানালেন তিনি।

হাসপাতাল রিপোর্ট তাই বলছে। কারণ ৫ দিন পর শিশু কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলে জানালেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। ৫ দিনের আগে কোনো শিশুর রিপোর্ট হাসপাতালে জমা পড়েনি বলে জানান অতীন ঘোষ। তিনি জানান যে এই ধরেনের ডেথ অডিট করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাই সেই হাসপাতালের সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে আসার জন্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এই রিপোর্ট পাওয়ার পর আগমিকালই এই রিপোর্ট স্বাস্থ্য দফতরের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানালেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য। তবে আগামী কাল চিফ ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার ঘটনাস্থলে যাবে। তার পরিস্তিতি খুঁটিয়ে দেখবে। যদি কারোর গাফিলতি থাকে তাহলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে এদিন জানান মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ। এদিন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করেন যে বর্ষাকালের এই সময় প্রাইম টাইম। ডেঙ্গু হবে না এটা গুরান্টি দিয়ে বলা যাবে না। তিনি জানান যে এই শাহরে ভোগোলিক অবস্থা রয়েছে যেখানে অনেক পুরোনো বাড়ি আছে। এই অঞ্চলেও অনেক পুরনো বাড়ি আছে। ওই সব বাড়িতে টালা দেওয়া আছে। যার ভিতরে বিভিন্ন জায়গা জল জমা আছে। এই ধরনের বাড়ির টালা ভেঙে যাতে জল জমা মুক্ত করা যায়। সেটা বলা হয়েছে বলে জানান মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অতীন বাবু জানান যে এই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁটিয়ে দেখা হবে। মৃত্যু আগে কোনো অন্য কারণ ছিল কি না সবটাই খুঁটিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষ থেকে যা দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া সেটা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ জানান যে অনেক ক্ষেত্র তাদের প্রতিবন্ধকতা আছে। অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ বাড়ির কে খুলা সম্ভব হয়না। আর এই সব বন্ধ বাড়ির ভিতরে জল জমার ফলে ডেঙ্গু ম্যালারিয়া মত মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান তিনি। এই সমস্যা কলকাতা একটা ক্রনিক সমস্যা বলেও জানান তিনি। স্থানীয় কাউন্সিলর কলকাতা পৌর সংস্থায় সঠিক ভাবে যে অভিযোগ করা দরকার ছিল। সেটা করেনি বলে জানান তিনি। তার যুক্তি যে স্থানীয় কাউন্সিলর হাউসে এই সমস্যা তুলেছেন ঠিকই। কিন্তু সঠিক বিভাগে এই সমস্যার কথা তিনি জানায়নি বলে এদিন পাল্টা অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ।

উল্লেখ্য যে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় কিছু দিন আগেই পৌর অধিবেশনে কালীঘাটে স্কাইওয়াকের কাজের জন্য জল জমার ফলে মশাবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই বিষয় ঠিক ভাবে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে ডেঙ্গুতে এক তরতাজা শিশুর মৃত্যু দায় কে নেবে। এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন পুর অন্দরে।