Date : 2024-04-26

ধর্মতলায় কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোদী সরকারের তুলোধনায় সরব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক: পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে SSC, TET, SLST, গ্রুপ- ডি নিয়োগ দুর্নীতি সহ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ধর্মতলা প্যারাডাইস সিনেমা হলের সামনে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং অন্যান্য জেলা ও প্রাদেশিক নেতৃবৃন্দরা। উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ শ্রী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শিক্ষায় দুর্নীতি নিয়ে এক হাত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। পাশাপাশি এন আর সি নিয়ে মোদী সরকারকেও কটাক্ষ করেন অধীর রঞ্জন চোধুরী। তিনি বলেন আজ ভারতবর্ষে যারা ক্ষমতায় আছে তারা নতুন করে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করার চেষ্টা করছেন। ক্ষমতাবান চায় পুলিশ দিয়ে প্রশাসন দিয়ে অর্থ দিয়ে অন্যদের দমিয়ে রাখতে । কিন্তু তা পারবে না। আমরা লড়ছি। লড়বো। রাহুল গান্ধী সাড়ে তিনহাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করছেন। ওনার লক্ষ্য হলো ভারতবর্ষকে জোড়া লাগানো। ভাবতে লজ্জা লাগে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুজরাটের ভোট এ দাড়িয়ে দাঙ্গা বাজদের সাপোর্ট করছেন।
সুপরিকল্পিত ভাবে ভারতবর্ষ কে বিভাজন করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। পথে নেমে কংগ্রেস একমাত্র ভারতকে বাঁচিয়ে রাখার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কংগ্রেস আর বিজেপির লড়াই ভাবনা ও বিচারধারায় ভিন্ন। আমরা নাটক করিনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর মতো। দিল্লি তে মোদীর সঙ্গে দোস্তি আর রাজ্যে এসে কুস্তি। কংগ্রেস এই সব করে না। মোদীর স্লোগান কংগ্রেস মুক্ত ভারত। মমতার স্লোগান কংগ্রেস মুক্ত বিপক্ষ দল। বিজেপি জানে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হলে বিজেপি হেরে যাবে। তাই মোদী সরকার বিরোধী জোট করতে দিচ্ছে না। দিদি মোদীর দালালি করছে। শহীদের নামে নাটক হয়। মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন কংগ্রেসের খেয়ে- পড়ে গাদ্দারী করছেন। টাকার ক্ষমতায় সব করছেন উনি। টিভি খুললেই চোর আর চোর নিয়ে আলোচনা। নেতারা সব চোর। শিক্ষা নিয়ে দুর্নীতি চলছে। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষিত হওয়া অপরাধ। যোগ্য ব্যক্তিদের বদলে অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। গোল্লা পেলে চাকরি। পড়াশোনা করে লাভ নেই। অধীর বাবু আরও বলেন যে – দিদি বলে দিয়েছেন নম্বর বাড়িয়ে দেবেন। পড়াশোনার মান আরও পড়ে যাচ্ছে এই ঘোষণায় আরও পড়ে গেল। খালি ভোট তৃণমূলকে দিলেই হবে। যে রাজ্যে মেধা স্থান পায় না, যোগ্যতা স্থান পায় না সে রাজ্যের ভবিষৎ অন্ধকার। শিল্পে পশ্চিমবাংলা এক সময় প্রথম স্থানে ছিল এখন সবার শেষে।