Date : 2024-04-27

কথা রাখল মেডিক্যাল, ‘অভিনব’ ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে শুরু হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নিজেদের উদ্যোগেই নির্বাচন শুরু করেছে ডাক্তারি পড়ুয়ারা।

নিঃসন্দেহে একেবারে অভিনব ছাত্র সংসদ নির্বাচন হল কলকাতা মেডিকেল কলেজে। প্রার্থীরা স্বাধীন ভাবে ভোটে লড়লেন।প্রত্যেকটি বর্ষের জন্য আলাদা আলাদা ব্যালট বাক্স তৈরি করা হয়, এছাড়াও আলাদা আলাদা করে এক একটি ভোটগ্রহণ কক্ষ তৈরি করা হয়।

চারটি বর্ষের পাঁচটি করে মোট ২০-টি পদে ভোট হয়। সেখানে প্রার্থী হয়েছেন মোট ৩১ জন। দুপুর ৩-টে অবধি চলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। তারপরে শুরু হয় গণনা। পর্যবেক্ষক হিসেবে ছিলেন ডাঃ বিনায়ক সেন, অম্বিকেশ মহাপাত্র, সুজাত ভদ্র, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়।

একদিকে মেডিক্যাল কলেজের অডিটোরিয়ামে চলছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অন্যদিকে সেই নির্বাচনকে বয়কট করে aidso। তাদের দাবি এই ভাবে নির্বাচন করে ছাত্র সংসদ তৈরি হলে তার বৈধতা থাকবে না। এই ইউনিয়ন ন্যায্য দাবি আদায়ে সক্ষম হবে না।

এর পালটা পড়ুয়ারা জানান যে, মেডিক্যাল কলেজের ডেমোক্রেটিক অবস্থা ফেরানোর দায় পুরোটাই পড়ুয়াদের। সেই জায়গায় কলেজের aidso করা তিনজন জানান এই পদক্ষেপ নিলে এই আন্দোলনের গুরুত্ব কমবে। আমার মনে হয় না এরকম কিছু হতে পারে কারণ মেডিক্যাল কলেজ সহ আরও বিভিন্ন কলেজের কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজেরা নিজেদের প্রতিনিধিকে নিজেরাই নির্বাচিত করতে পারবে।

নির্বাচন শেষ হতে সুজাত ভদ্র জানান যে ‘১০টা ১৫ থেকে ভোট শুরু হয়। ৩টে অবধি হয়েছে। প্রতি বর্ষে ৫জন করে প্রতিনিধি আছে। মোট ২০ জন। ৩১জন প্রার্থী।’
প্রথম বর্ষে ভোট পড়ে – ২২২
দ্বিতীয় বর্ষে ভোট পড়ে- ১৭৮
তৃতীয় বর্ষে ভোট পড়ে- ২০৪
চতুর্থ বর্ষে ভোট পড়ে- ১৮৪
মোট ভোট -৭৮৮
মোট ভোটার ১০০০
সমস্ত ইয়ারে ভ্যালিড ভোটার ২৫০। পড়ুয়াদের প্রত্যেককে পরিচয় পত্র আনতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি সরকারি পরিচয়পত্রও সঙ্গে রাখার কথা বলা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। যারা কোন দলের হয়ে প্রচার করেনি তারা ভলান্টিয়ার হিসাবে ছিল। সকল প্রার্থীর সামনে ব্যালট বক্স সিল করা হয়। কতৃপক্ষ এই ভোট করতে পারত এটা তাদের কাজ আমাদের নয়। যদি আমরা বিধানসভা লোকসভার ভোট নিয়ম মেনে করতে পারি তাহলে গনতন্ত্রের মৌলিক যে জায়গা সেখানে ভোট হচ্ছে না। আজ অবধি ওরা জানে না কেন ২২তারিখ ভোট বাতিল করা হয়
যদি আমি চেয়ারে বসতাম তাহলে বলতাম এটা মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম না। কিন্তু এই নির্বাচন দেখে আগামী দিনের নির্বাচনের দিন ঘোষণা উচিত। যদি হয় তাহলে এই নির্বাচনের জয় হবে’।

রাত ৮টা নাগাদ ফলাফল ঘোষণা হয়। আর তারপর চলে সেলিব্রেশন। যদিও এই ভোট কিংবা ইউনিয়ন কতটা বৈধ তা নিয়ে সংশয় থেকেই গেল।