Date : 2024-04-27

শুধুমাত্র ছাত্র নয় এবার ছাত্রীরাও ভর্তি হতে পারবে সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলে। এনিয়ে দ্রূত শিলমোহর দেবে বলে আশা স্কুল কর্তৃপক্ষের।

নাজিয়া রহমান, সাংবাদিক : নারী শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে ২০০বছরের পুরনো সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলটিকে কো এডুকেশন করার ভাবনা স্কুল কর্তৃপক্ষের। মিলেছে শিক্ষা দফতরের সবুজ সংকেতও।

স্বয়ং বিদ্যাসাগর এই স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০০ বছরের পুরাতন সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলটি বহন করে চলেছে নানা ইতিহাস। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি এই স্কুলের প্রাক্তনী। আগাগোড়ায় এটি ছিল ছাত্রদের স্কুল। এই স্কুলে ছাত্রীদের পড়ার কোনও সুযোগ ছিল না। এখনও নেই। তবে বর্তমানে এই স্কুলটিকে কোএডুকেশন করার উদ্যোগ নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর আশা খুব দ্রুতই এতে শিক্ষা দফতরের শিলমোহর পড়বে। প্রথমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রেই ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদের ভর্তি নেওয়া হবে। ধাপে ধাপে অন্য শ্রণীতেও শুরু হবে ছাত্রী ভর্তির প্রক্রিয়া। নারী শিক্ষার প্রসারে বিদ্যাসাগর দীর্ঘ লড়াই চালিয়েছিলেন। তাঁর স্মৃতিধন্য এই সংস্কৃত স্কুল যদি সত্যিই কোএডুকেশন হয় তাহলে স্কুলের ২০০বছরের পূর্তিতে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধার্ঘ জানানও হবে বলে মত প্রধান শিক্ষকের।

বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্র সংখ্যা ৬৮২ জন। তবে জেলার সরকারি স্কুলগুলিতে যে সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর ভীড় লক্ষ্য করা যায়, সে তুলনায় অনেকটাই কম শহর কলকাতার সরকারি স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা। এর মূল কারণ এখানকার বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের প্রতিযোগীতার বাজারে এগিয়ে নিয়ে যেতে ইংরেজি মাধ্যম বোর্ডের স্কুলগুলির উপরই বেশি ভরসা রাখছেন। যার প্রভাব পড়ছে সরকারি স্কুলে। কিন্তু তবুও ঐতিহ্যের প্রতি আস্থা ও ভরসা হারিয়ে দেননি অনেক বাবা মায়েরই। যারা নিজেদের সন্তানদেন ভর্তি করতে ছুটে আসছেন কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এই স্কুলগুলিতে।

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মৃতিবিজড়িত এই স্কুলে পড়ে গর্বিত এখানকার পড়ুয়ারাও। কোভিড পরিস্থিতিতে নিয়মিত অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পড়ুয়াদের পড়ানো হত। যা খুবই সাহায্য করেছে পড়ুয়াদের।

খাতায় কলমে এই স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় ১ জানুয়ারি ১৮২৪ সালে। স্কুলের ২০০ বছরের পূর্তিতে ২০২৩ জুড়ে নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ২০২৩এর ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠানের সূচনা। প্রদর্শনী সহ একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বছরভর পালিত হবে ২০০বছরেরপূর্তি।