Date : 2024-04-27

অতিরিক্ত প্যানেল তৈরি মামলায় সিবিআই আধিকারিকদের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি যাচাই এর নির্দেশ দেবোবলে হুশিয়ারি দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়, সাংবাদিক : ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্যানেল তৈরি মামলায় এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের তীব্র ভৎসনার মুখে সিবিআই। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত প্যানেল কেন তৈরি হয়নি তা জানতে চেয়ে তৎকালীন পর্ষদ সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচীকে এজলাশে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার পর্ষদের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচি জানান, সে সময় সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন তৎকালীন পর্ষদ সভাপতি। সেক্রেটারি র কিছু করার ছিল না। তিনি আরো জানান ওই বছর ওএমআর শিট নষ্টের দায়িত্বে থাকা এস বসু রায় এন্ড কোম্পানির সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগ রাখতেন তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। অন্য কাউকে কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দেওয়া হতো না।
বিচারপতি তখন তাকে বলেন তাহলে এই বক্তব্যই আপনি হলফনামা আকারে জমা দিন।
এরপরই সিবিআইকে নির্দেশ দিতে শুরু করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে হবে। জানতে হবে কিভাবে s basu Roy and company কে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল? কোনো টেন্ডার ডাকা হয়েছিল কিনা? বা ওই কোম্পানিকে নিয়োগের পিছনে অন্য কোনো ফ্যাক্টর কাজ করছিল কিনা।

সিবিআইয়ের আইনজীবী কিছু বলতে চান। তখন তাকে থামিয়ে বিচারপতি বলেন, ‘কাজ করতে হবে আপনাদের। না হলে আদালতের করা নির্দেশের সম্মুখীন হতে হবে।’
সিবিআই এর আইনজীবী ফের কিছু বলতে চান। তখনই ক্ষেপে ওঠেন বিচারপতি। বলেন, ‘যদি এবার আপনারা কাজ না করেন তাহলে আপনাদের জন্যে খুব খুব খুব বাজে সময় আসতে চলেছে। আমি পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি। শুধু লর্ড শিপ, লর্ডশিপ,
কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম। কি হচ্ছে? সারা পশ্চিম বঙ্গ বাসী অপেক্ষা করে আছে আর ইয়ার্কি হচ্ছে? আমি এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।’

শুনানির মাঝে কিছু বক্তব্য পেশ করেন মামলাকারীর আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। যা শুনে বিচারপতির ক্ষোভ আরও তীব্র থেকে তীব্র তর হয়
বলেন, বোগাস। সিবিআই আধিকারিকরা কিছু করছে না আমি কি এবার এম আই 5(ব্রিটিশ তদন্তকারী সংস্থা)এর কাছে যাবো।
যান সোমনাথ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে বলুন। যান খুঁজে বার করুন ওই এস বসু এন্ড রয় কোম্পানির সাথে মানিক ভট্টাচার্যের এত প্রেম কিসের। আমি সিবিআইয়ের কাজ দেখতে চাই। না হলে আমি কিন্তু এই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত সিবিআই আধিকারিক দের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি যাচাই এর নির্দেশ দেবো। মানিককে জেরা করে ১০ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট দিন।