Date : 2024-05-03

এ রাজ্য ছাড়াও দেশে বিদেশে কুমোরটুলির গড়া প্রতিমার রমরমা আরও বাড়ছে।

শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- উমা আরাধনায় বাকি আর মাত্র হাতে গোনা ক’টা দিন। আর, তার আগেই ব্যস্ততা বাড়ছে কুমারটুলিতে। বাধা দূর করে সবাই মিলিত হয় এই উৎসবে, দুর্গাপুজোকে ইতিমধ্যেই হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। ফিরছে অর্ডারের সারি। পটুয়া পাড়া জুড়ে চলছে খড়ের কাঠামোয় মাটি লেপার কাজ। কোথাও কাজ শেষ। কোথাও আবার চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। সকাল থেকে দম ফেলার জো নেই শিল্পীদের। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালি কিছুটা চিন্তায় রেখেছে শিল্পীদের। দুর্গাপূজার কয়েক মাস বাকি থাকতেই কলকাতার কুমোরটুলি থেকে দেবীর মূর্তি বিদেশে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। শিল্পীদের কথায় গতবারের তুলনায় বিদেশ থেকে অর্ডার বেড়েছে অনেকটাই। দুর্গামূর্তি বিদেশে পাঠানোর কাজও প্রায় শেষের পর্যায়ে। অধিকাংশ প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে গন্তব্যে। সামান্য কিছু পাঠানোর বাকী!

শিল্পী চায়না পাল বলেন, তাঁর হাতে গড়া ঠাকুর শ্রীনগর, ভোপাল, দিল্লি যাচ্ছে এবছর। সাবেকি প্রতিমা ঠাকুরই চায়না পাল বানান। প্রতিবছর তার ঠাকুর এ রাজ্যের বাইরে যায়। তবে এবছর সংখ্যা বেড়েছে। হাতে আরও কয়েকটি বায়না আছে রাজ্যের বাইরে যাওয়ার। শিল্পী চায়না পালের কথায়, গত দুই বছর, মহামারীর কারণে ব্যবসা খুব খারাপ ছিল। অর্ডারের সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছিল। কিন্তু এ বছর ইতিমধ্যে বেশ অর্ডার বেড়েছে অনেকটাই। তবে মাটি, খড়, অন্যান্য সরঞ্জামের দাম আকাশছোঁয়া। সেক্ষেত্রে আমাদের লাভের অঙ্ক অনেকটাই কমেছে।

শিল্পী মলয় পাল জানান, বিদেশ এবছর ঠাকুর যাওয়ার সংখ্যা বেশ বেড়েছে। এবার তাঁর ঠাকুর নেদারল্যান্ড যাচ্ছে। জাহাজে করে যাচ্ছে। কারণ জাহাজে গেলে খরচ তুলনামূলক কম। জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। তাই প্রতিমার দাম বাড়াতে হয়েছে। কম বেশি সবার ঘর থেকেই ঠাকুর বিদেশ ও এরাজ্যের বাইরে যায়।

তবে বড় ঠাকুরের চাহিদা এবার অনেকটাই বেশি। ছোটো বড়ো প্রতিমা অর্ডার এসেছে রেকর্ড সংখ্যায়। অর্ডার বাড়ায় পটুয়া পাড়া জুড়ে খুশির হাওয়া।
তবে করোনা আবহ কেটে আবার স্বমহিমায় ফিরছে দুর্গাপুজো এতেই আনন্দ মৃৎশিল্পীদের। ইউনেস্কো’র তরফে স্বীকৃতির পর দুর্গাপুজোয় জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন বেড়েছে।