শাহিনা ইয়াসমিন, সাংবাদিক:- ১৮৪ বছর বয়সী আলিপুর চিড়িয়াখানা (Alipur Zoo)। দেশের প্রাচীনতম চিড়িয়াখানাগুলির মধ্যে একটি। শীতকাল এলেই কলকাতার অন্যান্য ঘুরে দেখা জায়গার মধ্যে আলিপুর চিড়িয়াখানা একটি। যেখানে আট থেকে আশি সকলের ভিড় হয়।
চিড়িয়াখানায় এসে টিকিট কাটার পাশাপাশি এবছর অনলাইন বুকিং এর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানালেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিবছর আলিপুর চিড়িয়াখানায় (Alipur Zoo) মানুষের ভিড় হয়। ভিড় ঠেকাতেই এই উদ্যোগ বললেন তিনি। পাশাপাশি টিকিট কাউন্টার থাকছে। সবকটি কাউন্টার খোলা থাকবে এই সময়। এছাড়া খুচরো এড়ানোর জন্যে এবং পেমেন্ট সমস্যার সমাধানের জন্যে টিকিট কাউন্টারে UPI সিস্টেমও চালু করা হয়েছে বলে জানালেন, অধিকর্তা শুভঙ্করবাবু। অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া লোকদের সাহায্য করার জন্য গেটে পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।
সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে আলিপুর চিড়িয়াখানা। ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ার উপলক্ষে প্রতিবছর বৃহস্পতিবারও খোলা রাখা হয় চিড়িয়াখানা। তাই ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রোজই খোলা থাকবে চিড়িয়াখানা।
তবে চিড়িয়াখানার সদস্যরা কেমন আছে এই শীতে প্রশ্ন করা হলে চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন , শীতের জন্যে আলাদা পরিচর্যা করা হচ্ছে। তাদের রুমগুলো গরম রাখার জন্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খাওয়া দাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। মাংসাশী থেকে শাকাহারি পশু পাখিদের খাদ্যে পুষ্টি ও পরিমাণ বিষয়ক ডাইটেসিয়ানের তত্ত্বাবধানেই তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
নতুন সদস্যদের আনা হবে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। কিন্তু এখনি নাম বলতে চাইলেন না চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভংকর বাবু। এই বছর আরও বেশি মানুষের ভিড় হবে বলে আশাবাদী চিড়িয়াখানার অধিকর্তা। মানুষের ঢলকে মাথায় রেখে প্রস্তুত হচ্ছেন চিড়িয়াখানার কর্মী থেকে অফিসাররা।
ক্রিসমাস নিউ ইয়ার মরসুমে চিড়িয়াখানায় যানজট একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ থাকে। তাই আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ উভয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় যানজট নিরসন করা হবে। যে গেট গুলো বন্ধ রাখা হয় , সেগুলো উৎসবের মুখে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত ।