ষষ্ঠী চট্টোপাধ্যায়,সাংবাদিক : ইডির পক্ষের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানায় সুজয়কৃষ্ণ বহাল তবিয়তে হাসপাতালে ছিলেন। অথচ বারবার sskm হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে আনফিট বলে উল্লেখ করে হাসপাতালে রেখে দিয়েছে। ইডি হেফাজতে আসার পর থেকেই হাসপাতালকে ম্যানেজ করে বেশিরভাগ সময় হাসপাতালেই কাটিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। জেলে থাকার সময়ও একাধিকবার অসুস্থতা দেখিয়ে হাসপাতালে থেকেছেন। স্ত্রী মর যাওয়ার কারণে বেশ কিছুদিন প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান।
সুজয়কৃষ্ণ ২৭ জুন ২০২৩ থেকে হাপতালের বেড আটকে পড়ে ছিলেন। হাসপাতালকে ম্যানেজ করে ইডিকে এড়িয়ে গেছেন।
গত আগস্ট মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী সুজয়কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ফিট। তাহলে কি মেডিকাল গ্রাউন্ড এ তর জামিনের আবেদন কি যুক্তিযুক্ত? সুজয়ের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।
সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন গত আগস্ট মাসে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা যা ছিল তা নিয়ে এখন বিচার করা যুক্তিযুক্ত নয়। তার সম্পত্তি সিজ কর হয়েছে, তদন্ত প্রায় সম্পূর্ণ, জিগ্গসাবাদ হয়েছে। টার উপর টার বাইপাস সার্জারি সহ অন্য অপারেশন হয়েছে। নানাবিধ শারীরিক সমস্যা রয়েছে যেখানে নতুন করে সারজারি করার অবস্থা নেই। তাই ওষুধের মাধ্যমে চিকিত্সা চলছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে চিকিত্সকরা। সেক্ষেত্রে তাঁকে জামিন দিয়ে বাড়িতে রাখাই শ্রেয়। কারণ গত সাত মাস ধরে সুজয়কৃষ্ণ হাসপাতালেই রয়েছেন। কো মোর্বিডিটির সমস্যা রয়েছে। তাই জামিনের আবেদন করছি।