Date : 2024-04-26

সরকারী হাসপাতালের ‘রেফার রোগ’ – কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের

সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, সাংবাদিকঃ রোগীর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। যে কোন মুহূর্তেই আসতে পারে মৃত্যু। পরিজনরা নিয়ে এসেছেন কোন হাসপাতালে এমারজেন্সিতে তাকে দেখে ‘রেফার’ করে দেওয়া হল অন্যত্র। অন্য কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলে হয়তো বলা হল বেড নেই। এভাবে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক মানুষ। এই মুহুর্তে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মারাত্মক রোগ হল এই ‘রেফার রোগ’।

আর সরকারি হাসপাতালের এই রেফার রোগ সারাতে উদ্যোগী হল স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কড়া চিঠি দিল স্বাস্থ্য দফতর। পপরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য একজন সিনিয়র আই এ এস অফিসারকে নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতর ভীষণ রকম চিন্তিত এই রেফার রোগ নিয়ে। কারণ এর ফলে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে। সমস্যা ঠিক কতটা গভীরে? তা জানতেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য ভবন।

উল্লেখ্য রোগী রেফারের হার ৭ শতাংশের নিচে রাখতে চায় স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু জানা যাচ্ছে এই হার মানা হচ্ছে না কিছুতেই। রাজ্যের ৩৯টি হাসপাতালে এই মুহুর্তে রেফার করার হার ৭শতাংশের অধিক।আর এর মধ্যে আবার ২১টিতে এই হার ১০ শতাংশের অধিক।

স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। শুধু রেফার রোগই নয়। আছে আরও এক সমস্যাও।রাজ্যে LAMA( Patient leaving Against medical advice)-র হারও বেড়েছে। এই ক্ষেত্রে চিহ্নিত হয়েছে ৫০টি হাসপাতাল। যেখানে ৩ শতাংশের অধিক LAMA হার। এরমধ্যে LAMA হার ১৯ শতাংশের বেশি ১৯টি হাসপাতালে!

যেখানে প্রায় প্রতিদিন রাজ্যের হাসপাতাল গুলির জন্য এত কিছু বরাদ্দ হয় সেখানে যদি রেফার রোগের মত এত বড় সমস্যাকে না মেটানো যায় তাহলে তা আগামী দিনে আরও বড় চিন্তার। আর এরই সুষ্ঠু সমাধান চাইছে স্বাস্থ্য দফতর।