ওয়েব ডেস্ক: ভূতুড়ে বাড়ির কথা তো অনেক শুনেছেন কিন্তু ভূতের সঙ্গে ঘর করার কথা শুনেছেন কি? প্রেতাত্মাকে প্রেম,তারপর বিয়ে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই “আজ দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে বেঁকে…” চলতি বছরের গোড়ায় রীতিমতো ধুমধাম করে বিয়ের ঘোষণা করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা আমান্দা তিয়াগে। স্বামীরূপে যাকে বেছে নিয়েছিলেন তিনি একে বিদেহী,তার উপর জলদস্যু! নাম জ্যাক। বয়স তিনশো বছরেরও বেশী। এমনই এক ১৮ শতকের জলদস্যু প্রেতাত্মার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন আমান্দা। কিন্তু বিয়ের প্রথম জন্মদিনটা একসঙ্গে সেলিব্রেট করার আগেই সুর কাটল সম্পর্কের। প্রেতাত্মা স্বামী ‘জ্যাক’কে ‘ডিভোর্স’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ৪৬ বছরের আমান্দা। সাফ জানিয়ে দিলেন, “দ্য ম্যারেজ ইজ ওভার।’’কিন্তু কেন শরীর ছেড়ে অশরীরীর প্রেমে মজলেন আমান্দা? উত্তরে এই আইরিশ মহিলা জানান,এর আগে ‘মানব’ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে ছ’বছর দাম্পত্য কাটিয়েছেন। পাঁচটি সন্তানও রয়েছে তাঁর। একদিন আমান্দাকে ঘুম থেকে তুলে নিজের পরিচয় দেয় হাইতির এই জলদস্যু। দিন কয়েকের মধ্যেই জ্যাক প্রেম নিবেদন করেন তাঁকে। প্রথমে আমান্দা এই সম্পর্কে “না” বললেও তারপর দুবছর চুটিয়ে প্রেম করেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। তবে এই বিয়ে ভাঙার কারণ বড্ড ছাপোশা। শুধুই মতের অমিল ? আমান্দা বলছেন,সময় এলে নিজের অভিঞ্জতা সকলের সঙ্গে শেয়ার করবেন তিনি।