ওয়েব ডেস্ক: সংস্কৃতে ‘দ্বীপমালা’ শব্দের থেকেই মালদ্বীপ শব্দটি এসেছে। আবার অনেকে মনে করেন- ‘মালে দিভেই রাজে’-এই কথা থেকে মালদ্বীপ শব্দটির উদ্ভব। ‘মালে দিভেই রাজে’-এই কথার অর্থ, ‘দ্বীপরাজ্য’। আবার মহলদ্বীপ থেকে মালদ্বীপের কথাটি এসেছে বলে মনে করেন অনেকে। ২৬ টি লেগুন বা প্রবাল দ্বীপের সমষ্টি হল মালদ্বীপ। আর সমুদ্রের বুকে প্রবাল দ্বীপ মানেই অপূর্ব সৌন্দর্যের ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের সমষ্টি।
ছুটি কাটাতে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের গন্তব্য হয়ে ওঠে মালদ্বীপ, এর একমাত্র কারণ মালদ্বীপকে পৃথিবীর সব দ্বীপের স্বর্গরাজ্য বলে। আর মালদ্বীপে আসলে আপনার চোখ এড়িয়ে যাবে না রাতের অন্ধকারে সমুদ্রের বিষ্ময়কর পরিবর্তন। আকাশে অন্ধকার নামলেই তারারা যেন নেমে আসে মালদ্বীপের সমুদ্রে। ঢেউয়ের কোলে উঠে ছুটে এসে আকাশের তারারা জড়িয়ে ধরবে আপনার পা। স্বর্গরাজ্য বলে কথা, তারারা তো ঘুরবেই পায়ে পায়ে। যারা ওখানে গেছেন তারা চাক্ষুস করেছেন দৃশ্য আর যারা এখনোও যেতে পারেননি এই ছবি দেখলে তাদের একবার যেতে মন চাইবেই।
কেমন লাখে লাখে তারা সৈকতে নেমে এসেছে। বিস্ময়কর না? সৈকতে যেন তারাবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে কেউ। এই তারাবাতির রহস্য প্রকৃতির আরেক রহস্য। মনে হয় প্রকৃতি সৈকতকে সাজিয়ে দিয়েছে টুনি লাইটে। মিটিমিট নীল আলোয় তাক লাগানো বিস্ময়কর সুন্দর এই সমুদ্র, রাতের অন্ধকারে মায়াবী রূপ নেয়। এই উজ্জ্বল নীল আলো আর কিছুর নয়, এক ধরণের সামুদ্রিক ফাইটোপ্লাঙ্কটনের। ফাইটোপ্লাঙ্কটনের নাম ডিনোফ্লাজেলাটিস। এইসব ফাইটোপ্লাঙ্কটনে রয়েছে লুসিফেরাস নামক রাসায়নিক উপাদান যা আলো সৃষ্টি করতে পারে।
শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গেলে মালদ্বীপের এই সমুদ্র সৈকত দেখতে পাবেন। এটি ভাদহু দ্বীপের একটি বিচ। মালদ্বীপে ভ্রমণ করতে গেলে ভাদহু দ্বীপের এ স্থানটি অবশ্যই ঘুরে দেখা উচিত। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেই ভাদহু দ্বীপের সৈকত জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠে। আর অসাধারণ সে দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যায় যে কোনো ব্যক্তির। শুধুমাত্র কতগুলি সামুদ্রিক প্রবালকীট এই অপূর্ব বিষ্ময় তৈরি করবে, যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে আপনার।