ওয়েব ডেস্ক: উনুনের ধোঁয়া, গরম চা, ট্রামের শব্দ, খবরের কাগজের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করে ছাপিয়ে আসত সেই কণ্ঠস্বর, “আকাশবাণী কলকাতা….”। এখন স্মার্ট ফোনের সকালগুলো শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ার এসএমএস আর ফেসবুক নিউজ ফিড স্ক্রলিং দিয়ে। ইউটিউব, কমার্সিয়াল মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস অ্যাপের দুনিয়ায় মোবাইলের একধারে ‘নামকে ওয়াসতে’ পড়ে থাকে রেডিও অ্যাপটি। সোশ্যাল মিডিয়া আর ইউটিউবে সময় কাটাই আমরা, পছন্দের গান, সিনেমা খুঁজে পেতে সার্চ ইঞ্জিনে নাম লিখে প্রয়োজন হয় শুধু একটা ক্লিকের।
কিছুদিন আগেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগ বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহালয়ের চন্ডীপাঠ শোনার জন্য বাড়ি বাড়ি রেডিওর খোঁজ পড়ত। এখন সেই অনুষ্ঠানের কপিও চলে এসেছে ইউটিউবে।
রেডিও-র প্রয়োজনীয়তা প্রায় কমে এসেছে মানুষের জীবনে , আর ঠিক তখনই এক ক্লিকে বিশ্বের ৮ হাজার রেডিও স্টেশন পৌঁছে গেল আমাদের হাতের মুঠোয়।
ক্লিক করুন, গান শুনুন…….
http://radio.garden/live
গুগল প্লে স্টোর ‘রেডিও গার্ডেন’ নামে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করলেই আপনি পেয়ে যাবেন একটি লিঙ্ক। লিঙ্কে ক্লিক করলেই আপনার সামনে ভেসে উঠবে পৃথিবীর চিত্র।
৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ঘুরতে থাকবে গ্লোবটি আপনার চোখের সামনে। সারা বিশ্বে যতগুলি রেডিও স্টেশন আছে সবুজ বিন্দু দিয়ে গ্লোবের উপর ডিনোট করা থাকবে।
পছন্দ মতো দেশের পছন্দের রেডিও স্টেশনের অনুষ্ঠান শুনতে বিভিন্ন দেশের মানচিত্র অনুযায়ী শুধুমাত্র ক্লিক করতে হবে সবুজ বিন্দুর উপর, পয়েন্টারটি আপনাকে সেই রেডিও স্টেশনের লাইভ অনুষ্ঠান শুনিয়ে দেবে। সামান্য ইন্টারনেট খরচায় আপনি শুনতে পাবেন পৃথিবীর সমস্ত দেশের রেডিওর অনুষ্ঠান।
অ্যাপটি আনুষ্ঠানিক ভাবে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে ২০১৮ সাল থেকে। প্রতিদিন এই অ্যাপের মাধ্যমে অন্তত ৩০ হাজার লোক অন্তত ১০ মিনিট করে এই অ্যাপের মাধ্যমে তাদের পছন্দের রেডিও স্টেশনের অনুষ্ঠান শুনে নেন।
প্রতিটি অঞ্চল ভিত্তিক জনপ্রিয় রেডিও স্টেশনের ফ্রিকোন্সি ধরা যায় এই অ্যাপের মাধ্যমে। শুনে নেওয়া যায় তাদের লাইভ সম্প্রচার। নেদারল্যান্ড ইন্সটিটিউট অব সাউন্ড অ্যান্ড ভিসন-এর উদ্যোগে ২০১৬ সালে প্রথম এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরে জোনাথন পুকেই এই পরিকল্পনাকে বানিজ্যিক ভাবে নিয়ে আসেন মানুষের সামনে।