Date : 2024-04-26

অদম্য ইচ্ছেশক্তির কাছে বাধ সাধে দূরারোগ্য ব্যধিও – প্রমাণ করলেন লথীশা

ওয়েব ডেস্ক : সঙ্গী হুইলচেয়ার ও সিলিন্ডার। শরীরে বাসা বেঁধেছে এক দূরারোগ্য ব্যাধি। কিন্তু মনে প্রবল ইচ্ছেশক্তি থাকলে কোনোকিছুই অসম্ভব নয়। মনে অদম্য জোর থাকলে সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে ঠিকই পৌঁছানো যায় সম্ভাব্য লক্ষ্যে। ঠিক এমনটাই প্রমাণ করে নজির গড়লেন কেরালার কোট্টায়াম জেলার এরুমেলি এলাকার বাসিন্দা  লথীশা আনসারি।

২৪ বছর বয়সেও লথীশার উচ্চতা দুই’ফুট, ওজন ১৪ কেজি। জন্মের পর থেকে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে টাইপ টু অস্টিওজেনেসিস ইমপারফেক্টা (এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের শরীরের সমস্ত হাড় আস্তে আস্তে ভঙ্গুর হতে থাকে) সঙ্গে বিগত এক বছর ধরে লথীশা ভুগতে শুরু করেন পুলমোনারি হাইপারটেনশনে। ফলে তার বাড়তে থাকে ফুসফুসে রক্তচাপ ,শুরু হয় শ্বাসকষ্ট এবং নিতে বাধ্য হন  অক্সিজেনের সাহায্য।

ছোটোবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন এক বড় অফিসার হওয়ার, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু করে দেখানোর। কিন্তু বাধ সেধেছিল তার এই ব্যাধি। তবে তার অদম্য ইচ্ছেশক্তির জোরে, ব্যাধিকে উপেক্ষা করে হুইলচেয়ারেই অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ  ইউ.পি.এস.সি পরীক্ষায় হাজির হন  লথীশা।

পরীক্ষা দিতে এসেও প্রয়োজন হয় অক্সিজেন সিলিন্ডারের । এই বিষয়ে লথীশার বাবা কোট্টায়ামের ডিসট্রিক্ট কালেক্টর পি.আর. সুধীর বাবুর সাহায্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি পরীক্ষা হলে লথীশার জন্য পোর্টেবেল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেন বলে জানান তার বাবা ।  ছোটো থেকেই আই.এ.এস হওয়ার স্বপ্ন লথীশার চোখে। তারই প্রথম পদক্ষেপ রেখেছে সে এই পরীক্ষার মাধ্যমে। বড় অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে সেই আশা দুচোখে ভরে অপেক্ষায় এখন লথীশা।