Date : 2024-04-27

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন ‘বাঁশ’ খান….

ওয়েব ডেস্ক:- কথায় কথায় ‘বাঁশ’ শব্দটা ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। সমস্যার পড়ার ইঙ্গিত দিতে ‘বাঁশ’ শব্দটি বোঝানো হয়।

‘বাঁশ খাওয়া’ কথাটি অত্যন্ত উপহাসের, নেটিজেনরা অবশ্য ভালো ভাবেই পরিচিত ‘বাঁশ খাওয়া’ শব্দটির সঙ্গে। অথচ উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি অংশে বাঁশ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। না এই ‘বাঁশ’ খাওয়ার অর্থটা আলাদা। এটা খাবার যোগ্য বাঁশ। দৈহিক সুস্থতা বজায় রাখতে বাঁশ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা বাঁশের খাদ্যগুণ এতই ভালো যে শরীরে জটিল রোগের নিরাময় করতে সহায়তা করে। বাঁশের শাঁস খাবার হিসাবে খুবই জনপ্রিয় চীনে। বাঁশের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে একনজরে জেনে নেওয়া যাক।

বাঁশের পুষ্টিগুন:- বাঁশের শাঁস ৮৮-৯৩% জল, ১.৫-৪% প্রোটিন, ০.২৫-০.৯৫% চর্বি, ০.৭৮-৫.৮৬% চিনি, ০.৬০-১.৩৪% সেলুলোজ এবং ১.১% খনিজ পদার্থ থাকে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিনও বিদ্যমান।

কে বলে মানুষের কাজ পশু পারে না? দিব্যি কাপ-প্লেট ধুয়ে দিচ্ছে বাঁদর

এবার জেনে নিন বাঁশের কোন কোন অংশ খেলে শরীরে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

বাঁশের শাঁস দেহে কোলেস্টরেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বাঁশের শাঁস।

এছাড়া বাঁশে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বাঁশের জুড়ি মেলা ভার।

এছাড়া হাঁপানি, ডায়বেটিস, তীব্র জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ এমনকি মৃগী রোগের নিয়ন্ত্রণের বাঁশের গুণ অপরিসীম।

তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পারলে একটা করে কাঁচা বাঁশের শাঁস রাখুন। অনেক রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে শরীরে।