Date : 2024-03-19

পণের দাবি, গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে CID তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বাবা

ওয়েব ডেস্ক: পণের চাহিদা পূরণ করতে না পারা ও কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে গৃহবধুকে নির্যাতন করা হত। ২৭ সেপ্টেম্বর ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় মৌমিতা নামে ওই গৃহবধুর মৃতদেহ। শ্বশুরবাড়ির তরফে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছে মৌমিতা। কিন্তু মৌমিতার পরিজনরা সেই কথা বিশ্বাস করেনি। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় মৃতার পরিবার। যদিও অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও কিছু লাভ না হওয়ায় মৃতার বাবা শংকর মন্ডল ঘটনার সিআইডি তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। মৃতার বাবার বয়ানের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, মৌমিতার মৃত্যু ঘিরে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন প্রথমত মৌমিতা যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সেটা কেউই দেখেননি দ্বিতীয়ত, মৌমিতা যে ঘরের মধ্যেই আত্মহত্যা করেছে সেই ঘরের দরজা কে বা কারা ভাঙলো সেটা নিয়েও কিন্তু রয়েছে ধোঁয়াশা এবং তৃতীয়ত, বেলেঘাটা থানার পুলিশ এবং অভিযুক্ত মৌমিতার স্বামী কিভাবে একসাথে মৌমিতার দেহ কি ভাবে বাইরে আনতে পারেন? সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের ৬ জুলাই বেলগাছিয়ার বাসিন্দা মৌমিতা মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় বেলেঘাটার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়ের। কিন্তু প্রথম থেকেই পণের দাবি পূরণ না হওয়ায় মৌমিতার উপর চলতে থাকে অকথ্য অত্যাচার। এরপর মৌমিতা কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। সেই অপরাধে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের পরিমান দিন দিন বাড়তে থাকে। মৌমিতার বাবার বয়ান অনুসারে মৃত্যুর দিন সকালে সে তার বাবাকে ফোন করে বাড়ি নিয়ে যেতে বলে। এমনকি তার উপর অসম্ভব অত্যাচার চলছে বলেও ফোনে বাবাকে জানান মৌমিতা। মেয়ের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েননি শংকর বাবু তিনি জানান ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক এবং সেই কারণেই ২৯ ই নভেম্বর ইন্সপেক্টর সিআইডি এবং এডিজি সিআইডি দপ্তরে অভিযোগ জানালেও সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয় সংশ্লিষ্ট দফতরের পক্ষ থেকে। পরবর্তী সময়ে তিনি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এডিজি সিআইডি এবং ইন্সপেক্টর সিআইডি কাছেও আবেদন জানান যদিও সেই আবেদন গ্রহণ করেনি এডিজি সিআইডি এবং ইন্সপেক্টর সিআইডি। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শংকর বাবু।আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানি হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে।