Date : 2024-04-27

Nabanna Disaster Management : বিপর্যয় মোকাবিলায় কোমর বাঁধছে নবান্ন। বিশেষ নজরে ভবানীপুর

সঞ্জু সুর, রিপোর্টার : আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখে বুধবার বিপর্যয় মোকাবিলায় আপৎকালীন বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোর জেলাশাসকরা ছিলেন। ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিক ও পুরসভার কমিশনার ও। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। প্রতিটা জেলার মধ্যে সুসংহত ব্যবস্থা তৈরি রাখার নির্দেশ‌ও দিয়েছেন মুখ্যসচিব। দক্ষিণ বঙ্গের প্রতিটা জেলাশাসককে মুখ্যসচিবের সতর্কবাতা। ত্রান শিবিরের সংখ্যা বাড়ান। নদি বা সমুদ্র তীরে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরাতেই হবে।

কোনো প্রাণহানি যেন না হয়, এটা নিশ্চিত করার জন্য আলাদা করে জেলাশাসকদের বলেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বিশেষ করে ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট রয়েছে যে এলাকায় সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যসচিবের। মূর্শিদাবাদ ও কলকাতা জেলার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দিতে হবে ভোট গ্রহণ কেন্দ্র সহ স্ট্রং রুমের জন্য। ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারকে মুখ্যসচিব আলাদা করে নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্রের খবর, বৈঠকে বিনোদ কুমারকে মুখ্য সচিব বলেছেন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কোথাও যেন এতটুকু জল না জমে। এটা দ্বায়িত্ব নিয়ে তাঁকেই দেখতে হবে। ভবানীপুর কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটি নিচু এলাকা রয়েছে।

সেইসব এলাকার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ কমিশনার কে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। ভবানীপুর কেন্দ্রের কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কে স্ট্যান্ডবাই রাখার নির্দেশ মুখ্যসচিবের। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক কে আলাদা করে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। বৈঠক সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব বলেন এই দুই জেলা যেহেতু সমুদ্র উপকূলবর্তী, তাই এই দুই জেলার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, যদি আবহাওয়া দফতর কমলা সতর্কতা জারি করে, তাহলে আপনারা নিজ নিজ জেলায় লাল সতর্কতা জারি করে কাজ করুন। ত্রাণ শিবিরগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও ওষুধ এখন থেকেই মজুত করে রাখার জন্য জেলাশাসকদের বলেছেন মুখ্যসচিব। মুখ্য সচিবের আরো নির্দেশ এখনো যারা নিচু জায়গায় যারা রয়েছেন তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। এখন‌ই প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সেচ দফতরকে নির্দেশ নদীবাঁধ গুলোর দিকে সতর্ক নজর দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।